শিমুল মাহমুদ: [২] প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জাফরুল্লাহ বলেন, বঙ্গুবন্ধুকে আমার দেশের মানুষ ভালোবাসে। আমরা তাকে শ্রদ্ধা করি। আপনি যদি তাকে ভালো নাও বাসেন তাও তাকে অপমান করার অধিকার কারও নেই। তাকে নিয়ে উপহাস করার অধিকার নেই।
[৩] তিনি আরও বলেন, গান্ধী শান্তি পুরস্কার ২১ বছর আগে ড. ইউনুস পেয়েছিলেন আর এই পুরষ্কার বঙ্গবন্ধুকে দেওয়া হলো মৃত্যুর ৪৬ বছর পর। গান্ধী শান্তি পুরস্কার এই জাতীয় রাজনৈতিক প্রহসনের মানেটা কি? বঙ্গবন্ধুকে কোথায় নামিয়ে দিয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি তো তার সহায় হয়েছেন। আপনার পিতাকে ছোট করেছেন আপনি, আমরা নই।
[৪] সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আমার বাংলাদেশ (এবি পার্টি) আয়োজিত 'কণ্ঠ রোধ, হত্যা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সংহতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
[৫] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতীয়দের থেকে সাবধান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, আপনি কতোটা জনগণ বিচ্ছিন্ন তার একটা উদাহরণ আপনার বাড়ির কাছের মন্দিরে আপনি কখনো গিয়েছিলেন? আপনি জানতেন ওইখানে একটা মন্দির আছে? আপনি কি জানতেন খুলনার শ্যামনগরের এই মন্দিরের কথা? এটা জানতেন না। এটা জানিয়েছে আপনার চারিদিকে যে গিজগিজ করছে ‘র’, তারা আপনার প্রস্থানের চেষ্টা করছে। আপনি এই ‘র’ থেকে সাবধান হোন। ভারতীয়দের থেকে সাবধান হোন।
[৬] গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, অনেকেই বলছে, জনগণ থানা, সরকারি অফিস আদালতে আক্রমণ করছে। এটা কি রকম ব্যাপার, এর কারণটা কি? এগুলো আর গাড়িঘোড়া পোড়ানোর আমি বিরোধিতা করি। কিন্তু এটা কি তারা (হেফাজতে ইসলাম) পুড়িয়েছে? না ‘র’ পুড়িয়েছে সেটার জন্য একটি নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন আছে।
[৭] নাগরিক ঐক্যের আহব্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানকে ঘিরে ১৪ জন মারা গেছে। আর হেফাজত ইসলাম বলছে মোট ১৭ জন মারা গেছে। একটা স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে সরকারের গুলিতে ১৭ জন মানুষ মারা গেছে। এর থেকে বড় কলঙ্ক এই জাতির আর কি হতে পারে! সবাই প্রতিবাদ করছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ রেজা ড. রেজা কিবরিয়া, অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম প্রমুখ। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু