তন্ময় আলমগীর: [২] জেলায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পালিত হয়েছে হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল। রোববার (২৮ মার্চ) সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতকর্মীরা। এ সময় শহরের সব দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ ছিল।
[৩] পুলিশ টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গোটা শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
[৪] দুপুর ১২টার দিকে শত শত হরতাল সমর্থক লাঠিসোটা নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালায়। আধঘণ্টাব্যাপী অব্যাহত ছিল সেই তাণ্ডব। এ সময় চেয়ার-টেবিলসহ অন্যান্য আসবাবপত্রসহ ভাঙচুর চালায়। তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ জাতীয় নেতাদের ছবিতে অগ্নিসংযোগ করে।
[৫] পরে শহরের গৌরাঙ্গবাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে হরতালকারীরা। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রণে টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
[৬] হেফাজতের কর্মীরা জানায়, পুলিশের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ হরতাল পালনে হামলা চালানোতেই পরিস্থিতি সংঘর্ষের দিকে গড়ায়।
[৭] জেলা পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম বলেন, ‘যে কোনো পরিস্থিতি পুলিশ কঠোর হাতে দমন করবে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
[৮] কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অফিসে যারা হামলা করেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
[৯] জেলা ইমাম ও উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা শফিকুর রহমান জালালাবাদী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অফিসে হামলার ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তা জানেন না।’ সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ