আরমান কবীর: [২] টাঙ্গাইল জেলা কালচারাল কর্মকর্তা খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামকে হত্যার ঘটনায় স্বামীকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।
[৩] টাঙ্গাইল জেলা কালচারাল কর্মকর্তা খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করছে পুলিশ। মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রেজাউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
[৪] টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে, তাকে তার স্বামী শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
[৫] মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রেজাউল হক জানান, খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামের সঙ্গে তার স্বামী মিজানের দীর্ঘদিন যাবৎ পারিবারিক কলহ চলছিলো। পারিবারিক কলহের জেরেই তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। নিহতের ভাই মোঃ রফিক বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায়
রোববার (২৮ মার্চ) সকালে নিহতের স্বামী মিজানকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
[৬] প্রকাশ, শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মির্জাপুর কুমুদিনি হাসপাতালের একটি ভিআইপি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
[৭] মির্জাপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ জানান, রেদওয়ানা প্রসব ব্যথার জন্য গত ২২ মার্চ মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন। ওইদিনই তিনি একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। এরপর থেকে কন্যা সন্তানটিকে আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট) রাখা হয়। গত চারদিন আগে রেদওয়ানা ইসলামকে চিকিৎসকরা ছুটি দিয়ে দেন কিন্তু জন্ম নেয়া মেয়ে হাসপাতালে থাকার কারণে রেদওয়ানা হাসপাতালেই একটি কক্ষ নিয়ে থেকে যান। শনিবার সকালে তার স্বামী মিজান হাসপাতালে রেদওয়ানার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। বিকেলে হাসপাতালের নার্স অনুরাধা রেদওয়ানার কক্ষ বাইরে থেকে তালা মারা দেখতে পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কক্ষের ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে তালা খুলে ভেতরে রেদওয়ানার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :