রাশিদুল ইসলাম : [২] দেশটিতে কর্মরত সাহায্য সংস্থা কেয়ার’এর সহকারি আবাসিক পরিচালক রিভা-লো রিভা বলেন হাসপাতালগুলোতে কোভিড রোগির স্থান সংকুলান না হওয়ায় নতুন রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটি খুব ভীতিকর। মানুষের মধ্যে শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ছে চিকিৎসা মিলছে না। সিএনএন
[৩] রিভা বলেন পাপুয়া নিউগিনির সর্বত্র এক শ^াসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
[৪] অথচ গত ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ দেশটিতে মাত্র ১২৭৫ জন কোভিডে আক্রান্ত ছিল। কিন্তু এখন আক্রান্তের সংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪ হাজার ৬৬০ জনে দাঁড়িয়েছে, মারা গেছে ৩৯ জন। গত শুক্রবার সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে ৫৬০ জন।
[৫] দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপি স্বীকার করেছেন তার দেশের মানুষ যথেষ্ট গুরুত্ব না দেওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে এবং এনজিওগুলো বলছে তা আরো ধসের দিকে যেতে পারে।
[৬] আগামী সপ্তাহে ইস্টারের ছুটিতে লোকজন বাড়িতে গেলে সংক্রমণ আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এজন্যে প্রতিবেশি দেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের কাছে সহায়তা চেয়েছে পাপুয়া নিউগিনি।
[৭] এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক কেট স্কুয়েৎজ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতা ও স্বাস্থ্য বিধি সঠিকভাবে অনুসরণ না করায় দেশটির সংক্রমণ পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
[৮] প্রধানমন্ত্রী মারাপি সংসদে জানিয়েছেন ৪ হাজার নার্স, প্রায় ৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও হাসপাতালে মাত্র ৫ হাজার আসন নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া দায় হয়ে উঠেছে।
আপনার মতামত লিখুন :