রাশিদুল ইসলাম : [২] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছ্লি, শিশুদের শরীরে টিকার ডোজ কেমনভাবে কাজ করবে, কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে কিনা তা জানার পরেই টিকাকরণ শুরু করা হবে। ভারত বায়োটেক ১২ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের টিকাকরণের প্রস্তাব জমা করলেও, তা খারিজ করে দেয় দেশটির ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। তবে ফাইজার মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ কন্ট্রোলের (এফডিএ) অনুমতি সাপেক্ষে পরীক্ষামূলকভাবে শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] জার্মান ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বায়োএনটেকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএন) ভ্যাকসিন শিশুদের ওপরেও প্রয়োগ করছে ফাইজার। প্রথম পর্যায়ে ১৪৪ জন শিশুকে টিকা দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ৬ মাস বয়স থেকে ১১ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের বেছে নেওয়া হয়েছে। ফাইজার জানিয়েছে, টিকার তিন রকম ডোজ ঠিক করা হয়েছে। ১০, ২০ ও ৩০ মাইক্রোগ্রাম। টিকা দেওয়ার আগে শিশুদের শারীরিক পরীক্ষা করে নেওয়া হবে। কোনওরকম অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে তার জন্য টিকার অন্যরকম ডোজ ঠিক করা হবে।
[৪] তিনটি পর্যায়ে শিশুদের টিকার ডোজ দেবে ফাইজার। প্রথম পর্যায়ে ৫ বছর থেকে ১১ বছর বয়সীদের, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২ থেকে ৪ বছর বয়সীদের ও তৃতীয় পর্যায়ে ৬ মাস থেকে ২ বছর বয়সীদের। মোট সাড়ে চার হাজার বাচ্চাকে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আছে ফাইজার-বায়োএনটেকের।
[৫] ফাইজার-বায়োএনটেকের আরএনএ ভ্যাকসিন ৯৪ শতাংশ কাজ করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। জার্মান বায়োটেকনোলজি ফার্ম বায়োএনটেক এসই-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কোভিড ভ্যাকসিন বানিয়েছে ফাইজার। এই আরএনএ ভ্যাকসিন দেহকোষকে ভাইরাল প্রোটিন তৈরিতে বাধ্য করে যাতে তার প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি শরীরেই তৈরি হয়ে যায়।