খাজা নিজাম উদ্দিন: [১] ঢাকায় এ মুহূর্তে ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাসা, আপার্টমেন্ট খালি পড়ে রয়েছে। মাসের পর মাস ভাড়া হচ্ছে না, এটি এখন প্রচুর।
[২] ৭০ লাখ টাকার ফ্লাটে ১৮ হাজার টাকার বেসিক ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না, এ ঘটনা ঢাকার অনেক জায়গায়।
[৩] গত ১ বছর চাকরি হারিয়েছেন প্রচুর মানুষ, তাদের খবর কেউ নেয়নি এবং তাদের আবার চাকরিতে ফেরার সংখ্যা খুবই কম।
[৪] শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কোচিং সেন্টার, প্রাইভেট টিউশনের ওপর নির্ভরশীল অন্তত ২০ লাখ মানুষ, যাদের আয় কমেছে আর বাড়েনি।
[৫] মরার ওপর খাড়ার ঘায়ের মতো দ্রব্যমূল্য বাড়ছে হু হু করে।
[৬] দেশের ৯৮ শতাংশ কর্মসংস্থান দেয় বেসরকারিখাত। সেখানে বেতন বাড়া তো দূরের কথা ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে কমেছে, ওইদিকে দ্রব্যমূল্যে মানুষ দিশেহারা।
[৭] মানুষ ঢাকা ছেড়েছে গতবার। চাকরি হারিয়ে, ব্যবসা হারিয়ে বাড়িতে গেছে। প্রচুর বাসাবাড়ি খালি হয়েছে এবং ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি যা ঢাকায় এবং বহু জায়গায় ঘটেছে। বাড়ির মালিক ভাড়া কমিয়েও ভাড়াটিয়া পাওয়া যাচ্ছে না। [৮] যারা একদম কষ্ট করে ঢাকায় রয়েছেন আয়ের উৎস ছাড়া, একটু ভালো হবে আশায়, তাদের একটা অংশকে সম্ভবত চলে যেতে হবে।
[৯] করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সরকার অনেকটাই অসহায়। হয়তো করার কিছুই নেই। লকডাউন দিলে অর্থনীতি একদম শেষ। এদিকে চীনের কাছে আমাদের প্রচুর ঋণ আছে। বড় বড় প্রকল্পের বড় বড় ঋণ। যদিও ঋণশোধে আমরা ভালো অবস্থায়, তবে চীন আবার ঋণ দিতে না পারলে খুশি হয়, যাতে বন্দর,শহরের দখল নেওয়া যায় বন্দক হিসাবে।
[১০] কাজেই ১০/২০ হাজার মারা গেলেও এবার নাকমুখ বুঝে থাকতে হবে। এমনই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
[১১] এই যে বই মেলা হচ্ছে, একদমই অনুচিত কাজ-তাহলে প্রকাশকরা বাচবে কীভাবে? সেটাও বাস্তবতা।
[১২] এবার করোনায় সম্ভবত আমরা বুঝে গেছি, আমাদের করার খুব বেশি কিছু নেই।
[১৩] প্রবাসীদের কষ্টের টাকায় আর কতকাল চলবো? দ্বিতীয় ঢেউয়ে সেখানেও ধীরগতি আসতে পারে।
[১৪] এবার যদি ঈদের বাজার মার খেয়ে যায়, তাহলে অর্থনীতিতে বিপর্যয় নিশ্চিত। যদিও লাখ লাখ ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ী পথে বসলেও সেগুলো নিয়ে কোথাও আলাপ নেই। তবে এ ঈদের বাজারও যদি মন্দা যায়, তবে না দেখার ভাণ করেও হয়তো সবকিছু ঢেকে রাখা যাবে না। সাবধানতাই হতে পারে এবারের সবকিছুর রক্ষাকবচ। ফেসবুক থেকে