শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি :[২] মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সরকারি রাস্তা বন্ধ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী। বুধবার(২৪ মার্চ) সাড়ে ১১টায় শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
[৩] সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা মলয় দত্ত বলেন, উপজেলার সবুজবাগ রাধামাধব জিউর আখড়ার সামনের এই রাস্তা দিয়ে ৩৪টি দরিদ্র পরিবারের সদস্য ও স্কুলের কোমলমতি শিশুরা চলাফেরা করে। সরকারি ডিসির খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত এই রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিছুদিন যাবত এই রাস্তার পাশে অবস্থিত সবুজবাগ রাধামাধব জিউর আখড়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরিমল দাস জোড় পূর্বক সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করার পায়তারা করে আসছে। এই রাস্তার জায়গাটি আখড়ার নাম করে দখল করার জন্য রাস্তাটি কিছু অংশও তিনি কেটে ফেলেন। তিনি জায়গাটির মালিকানা আখড়া কমিটি দাবী করছেন।
[৪] সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধারা বলেন, যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে আসা এই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে এই এলাকার ৩৪টি পরিবারের বাড়িঘরের কোন রাস্তা থাকবে না। একটি সরকারি স্কুলের শিশুদেরও যাতায়াতও বন্ধ হয়ে যাবে। এই নিয়ে তার সাথে এলাকাবাসী একাধিকবার সালিশ বিচারে বসলেও তিনি ৫ লাখ টাকা দাবী করার কারণে বিষয়টি মিমাংসা হচ্ছে না।
[৫] সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, শ্রীমঙ্গল মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কুমুদ রঞ্জন দেব, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন ছমরু, সাবেক সহ কমান্ডার চিরেশ দস্তিদার ও বীর মুক্তিযোদ্ধ মোয়াজ্জেম হোসেন ছমরু প্রমূখ।
[৬] এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভানু লাল বলেন, এনিয়ে সালিশে সমঝোতার চেষ্টা করি। কিন্তু এক পক্ষ সালিশ মানলে অন্য পক্ষে আখরা কমিটি পরিমল দাস সেটি মানেননি। তবে এই রাস্তা সরকারি বলে তিনি বলে জানান।
[৭] এবিষয়ে সবুজবাগ রাধামাধব জিউর আখড়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরিমল দাস মঠোফোনে রাস্তা বন্ধ করার কথা অস্বিকার করে বলেন, আমি কোন রাস্তা বন্ধ করিনি। এখনও রাস্তা চলাফেরার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন আমি একজন সমাজের প্রতিষ্ঠিত লোক। তারা আমাকে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী