শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ২৫ মার্চ, ২০২১, ০৫:৪৯ সকাল
আপডেট : ২৫ মার্চ, ২০২১, ০৫:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার: পঁচিশ মার্চ কালরাতে পাক হানাদার বাহিনীর তাণ্ডব, আমরা ভুলবো না কোনোদিন

মে. জে. (অব.) কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার: একাত্তর সালের ২৫ মার্চ, বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে হত্যাযজ্ঞ অভিযান চালিয়েছিলো তার নাম দিয়েছিলো আপারেশন সার্চলাইট। বাংলাদেশের যেসব শহর বা এলাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অবস্থান করছিলো, সেসব জায়গায় গণহত্যা চালিয়েছিলো। এর মধ্যে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি মানুষ হত্যা করেছে এবং অন্যান্য ক্যান্টনমেন্ট এলাকা- যেমন কুমিল্লা, সৈয়দপুর, যশোর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ছিলো উল্লেখ্যযোগ্য। এসব জায়গাগুলোতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাদের অভিযান পরিচালনা করেন নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে। তারা সামরিক আদেশের মাধ্যমে গণহত্যা করেছে, এ গণহত্যার দালিলিকভাবে প্রমাণিত।

ঢাকা শহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো এলাকা,পুরান ঢাকার চকবাজার, ঠাটারি বাজারের, আশপাশের এলাকাগুলোতেও অপারেশন সার্চলাইটের অভিযান চালিয়ে গণহত্যা করেছে। এ গণহত্যার ঘটনা বিশ্বের ক্ষমতাধর সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়। ২৫ মার্চ কালরাতে একলাখ মানুষ হত্যা করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। ওই রাতের গণহত্যাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক যে কনভেনশন আছে সেখানে বলা আছে কোনোভাবেই কোনো সিভিলিয়ানকে সেনাবাহিনী টার্গেট করে হত্যা করতে পারবে না। কিন্তু পাকিস্তানি সেনাবাহিনী  সিভিলিয়ানকে টার্গেট করেছে এবং হত্যা করেছে। সুতরাং তারা গণহত্যা করে সেটা লংঘন করেছে।

গণহত্যার মতো এতো বড় অপরাধ কোনো রাষ্ট্রক্ষমা করতে পারে না, আমরাও করবো না। ক্ষমা করার প্রশ্নই ওঠে না। গণহত্যার সঙ্গে জড়িত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর যেসব অফিসার ওই সময় ঢাকায় ছিলো, তাদের যেসব লিখিত বইপত্র এবং বিভিন্ন দলিলপত্র রয়েছে, সেখাতে তারা নিজেই স্বীকার করেছেন, তারা গণহত্যা করেছেন। ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সাক্ষী নেওয়া হয়েছে ছিলো, সেখানেও তারা বলেছেন তারা গণহত্যা করেছে। পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যার দায় থেকে কোনোভাবেই সরে যেতে পারবে না। যতো সময়ই লাগুক পাকিস্তানকে গণহত্যার দায় নিতেই হবে। এ থেকে তারা রক্ষা পাবে না। তাদের বিচার হতেই হবে। যারা গণহত্যা চালিয়েছিলেন তারা জীবিত না থাকলেও পাকিস্তান রাষ্ট্রকে দায়ভার নিতে হবে, তার ক্ষতিপূরণ পাকিস্তান রাষ্ট্রকেই দিতে হবে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ  কালরাত বাঙালি জাতির জন্য বিভীষিকা। গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার যাচ্ছে না। কারণ আমাদের রাষ্ট্রের কিছু দুর্বলতা রয়েছে, আমাদের রাজনীতির কম্পোজিশন ভালো নয়। বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক পক্ষ গণত্যা আন্তার্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য তারা স্বোচ্চার নয়। গণহত্যার বিচারের দাবি তারা কখনো চায়নি। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বিভিন্নসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দেশ পরিচালনা করেছে, তারা গণহত্যার প্রশ্নে সব সময় নিরব থাকে।

পাকিস্তানী সেনাবাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের এক নেত্রী বলে  ফেললেন, ৩০ লাখ শহীদ নিয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমত তারা চায়! দেশেই শহীদদের  সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ। রাজনৈতিক  জায়গা থেকে গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে ঐক্য নেই। পরিচিতি : নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসুদ হাসান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়