সালেহ্ বিপ্লব: [২] স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। নিহতদের মধ্যে ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (সিসিএম) পার্থসারথি মণ্ডল, তার নিরাপত্তা রক্ষী সঞ্জয় সাহানি, ৪ জন দমকল কর্মী ১ জন আরপিএফ কর্মী এবং হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই রয়েছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। আনন্দবাজার, সংবাদ প্রতিদিন
[৩] রাত সোয়া ১১টা নাগাদ ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ক্ষতিপূরণ ছাড়া মৃতদের পরিবার পিছু এক জনকে সরকারি চাকরিও দেওয়া হবে।
[৪] জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক জন দমকল কর্মী লিফটে উঠছিলেন। ১২ তলায় পৌঁছে তাঁরা লিফট থেকে বেরনোর চেষ্টা করেন কিন্তু প্রচণ্ড তাপের কারণে তারা ফিরে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু চার পাশের বিষাক্ত গ্যাসে তারা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন।
[৫] ১৪ তলা ভবনটির ১৩ তলায় প্রথমে আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। ভবনের ১৩ তলাতে রেলের অফিস রয়েছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভবনের ১২ তলায়। সেখানে রেলের সার্ভার রুমটি ভস্মীভূত হয়েছে। এর ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতে রেলের বুকিং ব্যবস্থা ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হয়েছে।
[৬] আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে দমকলের ২০টি ইউনিট। অনেক উঁচুতে আগুন লাগায় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হাইড্রলিক ল্যাডার নিয়ে যাওয়া হয়।
[৭] সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে ওই ভবনে। অগ্নিকাণ্ডে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই এলাকার মানুষ। স্ট্র্যান্ড রোডের একাংশ বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, পূর্ব রেলের সিনিয়র কর্মকর্তা, হেয়ার স্ট্রিট থানার ওসি এবং কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা।