ইমরুল শাহেদ: প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের প্রস্তাবিত ২০ লাখ টাকা বাজেটের একশ’ ছবির প্রথম ধাপের দশটি ছবির কাজ ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন লোকেশনে শুরু হয়েছে। পরিচালক সায়মন তারিক জানিয়েছেন, এসব লোকেশনের মধ্যে রয়েছে উত্তরা, পূবাইল, মধুমতি মডেল টাউন, জয়দেবপুর, বিক্রমপুরসহ আরও কয়েকটি স্থান।
প্রথম দশটি ছবির নাম হলো চৈত্র দুপুর, এক পশলা বৃষ্টি, মন যারে চায়, পরাণে পরাণ বাঁধি, কলিজাতে দাগ লেগেছে, হৃদ মাজারে তুমি, জেদী মেয়ে, বাসর ঘর, ফেসবুক ও দুই ঘন্টা দশ মিনিট। এসব ছবিতে কাজ করছেন চলচ্চিত্রশিল্পে কম চাহিদাসম্পন্ন শিল্পীরা। ফারিণ, মিষ্টি জান্নাতসহ এ শ্রেণীতে আরও রয়েছেন মিউজিক ভিডিও এবং টিকটক করা মডেলরাও। এ ধাপের কাজ দ্রুত তই শেষ হবে বলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে। পরবর্তী ধাপের কাজ শুরু হবে এপ্রিলে।
ততদিনে পরিচালক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যাবে। এমনটাই বলা হচ্ছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সূত্রটি থেকে। এসব ছবি নিয়ে চলচ্চিত্রশিল্পের ইতিবাচক কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। ইতোমধ্যেই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, যেসব পরিচালক এই একশ’ ছবির ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন, তারা কেন ২০ লাখ টাকায় ছবি নির্মাণ করছেন না। তাদের নামটাইতো আগে থাকা উচিত ছিল। এমনি আরও অনেক প্রশ্ন আসছে। কিন্তু এর একটা ইতিবাচক দিকও আছে। অনেক দিন পর এই একশ’ ছবিকে কেন্দ্র করে এফডিসিতে একটা জমজমাট ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চেনা-অচেনা অনেককেই সুযোগের আশায় এফডিসি চত্বরে ঘুরাফিরা করতে দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ এজন্য পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবরকে সাধুবাদও জানাচ্ছেন।
তিনিই মোহনা টিভির জন্য ২০ লাখ টাকায় ছবি নির্মাণের ধারাটির নতুনভাবে সূত্রপাত করেছেন। কম বাজেটে টিভি প্রিমিয়ারের জন্য চলচ্চিত্রের নামে টেলিফিল্ম নির্মাণের সূচনা করে চ্যানেল আই। কিন্তু একটা পর্যায়ে সে ধারা থেমে যায়। ধারাটি নতুনভাবে উজ্জীবিত করে মোহনা টিভির সহযোগিতায় মনতাজুর রহমান আকবর। অল্প সময়ের মধ্যে ধারাটির সঙ্গে যুক্ত হন ডিপজল। এখন এই ২০ লাখ টাকায় চলচ্চিত্র নির্মাণের ধারাটি ইতিহাসের উপাদান হয়ে উঠেছে একশ’ ছবি নির্মাণের উদ্যোগের মধ্য দিয়ে।