সুজন কৈরী : দেশের বিশাল সমুদ্র এলাকায় ও উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তায় অবদান রেখে চলা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ৩৩৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার মৎস্য ও অবৈধ জব্দ করেছে।
এছাড়া একই সময় প্রায় ১১৩ কোটি টাকার চোলচালানকৃত পণ্য ৯৯ কোটি ৫ লাখ টাকার অবৈধ মাদক এবং ৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। পাশাপাশি করোনাকালীন ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন ব্যবস্থাপনা ও জননিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি খাদ্যসামগ্রী নিয়ে অসহায়, দুঃস্থ, কর্মহীন এবং শ্রমজীবী মানুষের পাশেও দাঁড়িয়েছে বাহিনীটি।
১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত কোস্ট গার্ড বর্তমানে দেশের বিশাল সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখে চলেছে। দেশের সমুদ্রসীমা ও উপকূলীয় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ, জনগণের জানমাল রক্ষা, চোরাচালান, মাদক ও মানব পাচার দমনের পাশাপাশি নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ ও সহায়তা প্রদানের মধ্য দিয়ে কোস্ট গার্ড মানুষের মাঝে নিরাপত্তা ও আস্থার বিশ্বস্ত প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও কোস্ট গার্ডের নিরলস প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর ঝুঁকিপূর্ণ বন্দরের তালিকা থেকে বের হয়ে একটি নিরাপদ বন্দরে পরিণত হয়েছে।
কোস্ট গার্ড বলছে, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ দিক নির্দেশনা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তত্ত্বাবধান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঐকান্তিক সহযোগিতায় বিভিন্ন আধুনিক জাহাজ, ঘাঁটি ও জলযান সংযোজনের মাধ্যমে বর্তমানে এ বাহিনীর সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোস্ট গার্ডকে একটি আধুনিক এবং যুগোপযোগী বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে গত বছরের ১৫ নভেম্বর এই বাহিনীতে একই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৯টি জাহাজ এবং একটি ঘাঁটি।
কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার আমিরুল হক বলেন, সময়ের পরিক্রমা ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার নিপুণ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে অধিকতর কার্যকর, শক্তিশালী ও সুদক্ষ বাহিনী হিসাবে গড়ে তুলে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিতে এ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য উজ্জীবিত ও বদ্ধপরিকর। মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর প্রেরণায় অনুপ্রানিত হয়ে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে জাতির প্রত্যাশা পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে কোস্ট গার্ড।