শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৭:১৮ সকাল
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৭:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কারাগারে নারীসঙ্গ: ১১ জন সাসপেন্ড, বিভাগীয় ব্যবস্থার আওতায় আরও ৭

ডেস্ক রিপোর্টে: গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর ভেতর নারীসঙ্গের ঘটনায় জ্যেষ্ঠ জেল সুপার, জেলার, ডেপুটি জেলারসহ ১১ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আরও সাতজনের বিরুদ্ধে।

হলমার্কের বিতর্কিত জিএম কারাবন্দি তুষার আহমেদ কারাগারের নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এক নারীর সঙ্গে সময় কাটানোর ঘটনায় এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কয়েদির সঙ্গে কারাগারে এক নারীর সময় কাটানোর সময় এসব কর্মকর্তা সেখানে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনার এই চিঠি কারাগারে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় বরখাস্ত করা হয়েছে জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায়, জেলার নুর মোহাম্মদ মৃধা এবং ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলায়েনকে। এ ছাড়া বরখাস্তের তালিকায় রয়েছেন কারারক্ষী, একজন সহকারী প্রধান কারারক্ষী ও সার্জেন্ট ইনস্ট্রাক্টর।

নারীসঙ্গের ঘটনার একাংশ কারাগারের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে কারা অধিদপ্তর ও গাজীপুর জেলা প্রশাসন দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ ঘটনায় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায়সহ তিনজনকে প্রত্যাহার করে কারা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।

জানা গেছে, বুধবার তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে জমা দেয়। ৪৯ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়ী করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দায়ীদের বিরুদ্ধে গতকাল ব্যবস্থা নেওয়া হলো।

প্রতিবেদনে তদন্ত কমিটি মোট ২৫টি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সাময়িক বরখাস্ত করা, চাকরিবিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, কেন্দ্রীয় কারাগারের বদলে জেলা কারাগারে পদায়ন করা প্রভৃতি। তদন্ত কমিটি আরও অনেক অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে। এ ছাড়া সারাদেশের কারাগারগুলোয় সিসি ক্যামেরা বসানো এবং তা তদারক করার সুপারিশ করা হয়।

গত ৬ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসমা নামের ওই নারী কারাগারের ভেতর ঢোকেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বেরিয়ে যান। সিসি ক্যামেরায় পুরো সময়টা ধরা পড়েনি। এর মধ্যে নানা রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। একটি অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে তিনি কারাফটকে আসার পর ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলায়েন ও সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ওই নারীকে অন্য কর্মচারীদের সামনেই গ্রহণ করেন। এর জন্য মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই নারী তুষার আহমেদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটান। সূত্র: সমকাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়