আব্দুল্লাহ মামুন: [২] শিক্ষাবিদ যতীন সরকার বলেন, ফেব্রুয়ারী মাস এলেই আমরা ভাষা সম্পর্কে সচেতন হই। গণমাধ্যমে অনেক মন্তব্য প্রকাশিত হয় ভাষা ও ভাষা শহীদদের সম্পর্কে। এগুলো অবশ্যই ভালো। কিন্তু দু:খটি হলো এতো বছর পরেও আমরা শহীদদের স্মৃতিকে যথার্থ রক্ষা করতে পারিনি। আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বীকৃতি পেয়েছে এটি ঠিক কিন্তু আমরা কি করেছি?
[৩] যারা আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল তারা অনেকেই সন্তানদের ইংরেজী মাধ্যমে পড়াশোনা করাচ্ছেন। বাংলা ভাষার মাধ্যমে পৃথিবীর জ্ঞান-বিজ্ঞানের সঙ্গে দেশের মানুষের পরিচিতি গ্রহণ করাতে পারিনি। আমরা নিজেরাই মাতৃভাষাকে কলঙ্কিত করে চলেছি, আমাদের ছেলে-মেয়েকে ইংরেজী মাধ্যমে পড়াতে পারলে নিজেদের কৃতার্থ বোধ করি। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার।
[৪] শিক্ষাবিদ আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, রাষ্ট্র ভাষা বাংলা এরপরও যেনো বাংলা ভাষাকে সঠিক মূল্যায়ণ ও প্রতিষ্ঠিত করতে পারছি না। স্কুলে-কলেজে ইংরেজী মাধ্যম চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রাথমিক পর্যায়েও ইংরেজী মাধ্যম চালু করা হচ্ছে এতে বাংলা মাধ্যমকে একরকম অবমূল্যায়ণ করা হচ্ছে। এরমধ্য দিয়ে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে বাংলার ভাষার ভবিষ্যত থাকবে না।
[৫] দুজনেই বললেন, পৃথিবীর যেকোনো ভাষা জানা প্রয়োজন, তবে সকল ভাষার সঙ্গে বাংলা ভাষার সমন্বয় করতে আমরা ব্যর্থ। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :