মহসীন কবির: [২] বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন' শিরোনামের প্রতিবেদন প্রকাশ করায় আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ হতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছিল। তবে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সময় টেলিভিশন
[৩] বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী। এ সময় কাতারভিত্তিক ২৪ ঘণ্টার সংবাদ চ্যানেলটির কাছ থেকে বাংলাদেশ সত্য ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা আশা করে বলেও জানান তিনি।
[৪] বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনার কোনো অফিসিয়াল বডিগার্ড ছিল না জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আল জাজিরা ডাহা মিথ্যাচার করেছে। দলের নেতাকর্মীরাই নেত্রীর সবচেয়ে বড় বডিগার্ড। একুশে আগস্ট গ্রেনড হামলার সময় তারাই নেত্রীকে বাঁচিয়েছে। এর মধ্যেই গণমাধ্যমটি গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।
[৪] পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ যেভাবে উন্নতি করছে সেটা অনেকের হিংসার কারণ। আল জাজিরা বাংলাদেশের উন্নতি দেখতে পারে না। তারা সব মুসলিম দেশেরই প্রতিপক্ষ। তাদেরকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত। ডিবিসি নিউজ
[৫] মন্ত্রী আরও বলেন, এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে, তারা অন্য কারো লবিষ্ট হিসেবে কাজ করেছে। বাংলাদেশ সরকার তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে।
[৬] কাতারভিত্তিক এ গণমাধ্যমটি মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
[৭] এদিকে মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী। বাংলাদেশ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, অন্য দেশে গণতন্ত্র বিকশিত হোক আমরাও সেটাই চাই।
[৮] তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে আপাতত তাদের সঙ্গে কোন বৈঠক হচ্ছে না। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে বলে আশা করি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিয়ে কোন শঙ্কা নেই।
[৯] অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফর নিয়ে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আগামী ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসবেন বলে প্রত্যাশা করছি। তিনি টুঙ্গিপাড়ায়ও যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।