ফরহাদ আমিন :[২] কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শামলাপুর ২৩ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে দুইদিনে ২৮৫টি পরিবারের ১ হাজার ৩৩৭জন রোহিঙ্গা নাগরিককে বালুখালী ও কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে স্থানান্তর করা হয়েছে।এর আগে গত বুধবার ১৪৪ টি পরিবারের ৬৭০ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়ার ২০ নম্বর শরণার্থীশিবিরে স্থানান্তর করা হয়।পর্যটন এলাকা হিসেবে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[৩] বৃহস্পতিবার বিকেলে শামলাপুর ২৩ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির থেকে বালুখালী,কুতুপালং ১৯ নম্বর ও ৪ নম্বর শরনার্থী ক্যাম্পে তাদের স্থানান্তর করা হয়।এ শিবিরে ১২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে।এ স্থানান্তর প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
[৪] এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজিজ উদ্দিন ও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়।
[৫] বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি)চেয়ারম্যান আজিজ উদ্দিন বলেন,সরকার পর্যটন এলাকা ও টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের গুরুত্ব বিবেচনা করে বাহারছড়ার শামলাপুর ২৩ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির বন্ধের পদক্ষেপ নিয়েছে। এ জন্য এই শিবিরের রোহিঙ্গাদের অন্যত্র স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। দুইদিনে১৮টি বাস ও ১৪টি ট্রাকে করে২৮৫টি পরিবারের ১ হাজার ৩৩৭ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুকে উখিয়ায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
[৬] এ প্রসঙ্গে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মকর্তা, শামলাপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ (সিনিয়র সহকারী সচিব)পুলক কান্তি চক্রবর্তী বলেন,সরকারের নির্দেশনায় শামলাপুরে এ শিবির খালি করে রোহিঙ্গাদের উখিয়ার বিভিন্ন শিবিরে নেওয়া হচ্ছে। গত দুই দিনে এ শিবির থেকে ২৮৫টি পরিবারের ১হাজার ৩৩৭ জনকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :