রিয়াদ ইসলাম: দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ঈশ্বরদী প্রচারণায় বাধা ও হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ঈশ্বরদীতে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর বাড়িতে ইটপাটকেল ছুড়ে জানালা, দরজার কাচ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে বিএনপির এ অভিযোগ ‘গতানুগতিক’ দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী। তাঁর দাবি, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রচার-প্রচারণায় কর্মী না পেয়ে বিএনপি এমন অভিযোগ তুলেছে।
ঈশ্বরদী পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী রফিকুল ইসলামের বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, “প্রচারণার শুরু থেকেই তাঁরা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষের পোস্টার ছেঁড়া হয়েছে। মাইকিংয়ে বাধাসহ আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা প্রচার-প্রচারণায় পদে পদে বাধা দিচ্ছেন। তাঁকে বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছেন না। বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত এসে তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। তারা ইটপাটকেল ছুড়ে বাড়ির জানালা-দরজা ভেঙে দিয়েছে। এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।”
আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইছাহাক আলী মালিথা বলেন, “বিএনপির প্রতিটি অভিযোগ গতানুগতিক। তাঁরা নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে প্রচার-প্রচারণায় কর্মী পাচ্ছেন না। তাঁদের বাড়িতে কেউ হামলাও করেনি। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপির প্রার্থী বিভিন্ন ধরনের নাটক সাজাচ্ছেন।
হামলার অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসির উদ্দিন বলেন, “কিছু দুষ্টু ছেলে ওই বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ইট ছুড়েছে। এতে বাড়ির একটি জানালার কাচ ভেঙেছে। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও রিটার্নিং অফিসার পিএম ইমরুল কায়েস পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আশ্বস্ত করে বলেন, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশৃংখলতার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।'