রাশিদুল ইসলাম : [২] বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় রয়েছেন আর মাত্র দিন কয়েক। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ইমপিচ করার পর তার ভাগ্যে এখন কী ঘটবে তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন। আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণ করবেন। এই সময়ের মধ্যে কী তাকে সিনেটে ইমপিচ করার মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে চূড়ান্তভাবে বিদায় করা যাবে? সিএনএন
[৩] সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে- সিনেটে ভোটাভুটি কবে হবে? প্রতিনিধি পরিষদে ইমপিচমেন্টের ভোটাভুটি সম্পন্ন হওয়ার পর তা অনুমোদন করে সিনেটে পাঠাতে হয়। ইমপিচমেন্টের বিষয়টি সিনেটে পৌঁছানোর পরপরই সেখানে তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়।
[৪] এই ধারা অনুসরণ করে ডেমোক্রেট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ শিগগিরি সিনেটে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠাবেন। সিনেট অধিবেশন ডাকা হলে ট্রাম্পের বিচার হতে বাধ্য, কোনো বিকল্প নেই।
[৫] সিনেটের অধিবেশন আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মূলতবি রয়েছে। সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা মিচ মাককোনেলের অফিস থেকে গত বুধবার জানানো হয়, জরুরি অধিবেশন ডাকার ব্যাপারে সিনেটের সংখ্যালঘু দলের নেতা চাক শুমারের একটি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। চাক শুমার অনুরোধ করেছিলেন যে, ইমপিচমেন্টের বিষয়টি ‘জরুরি’ বিবেচনা করে যেন সিনেট নেতা মিচ ম্যাককোনেল অধিবেশন আহ্বান করেন।
[৬] প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটি হওয়ার পর এক বিবৃতিতে মিচ ম্যাককোনেল জানিয়েছেন, বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিনেট কোনো ব্যবস্থা নেবে না। ফলে ট্রাম্প হয়ত তার ক্ষমতার শেষ দিনগুলো হোয়াইট হাউসেই কাটাতে পারবেন। তবে তার জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে- সিনেটে একবার ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব পৌঁছালে তা নিয়ে ভোটাভুটি করতে বাধ্য।
[৭] এর ফলে ট্রাম্প ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়ার পরও তিনি সিনেটে ইমপিচমেন্টের মুখে পড়বেন। যদি সিনেটে তিনি ইমপিচ্ড হন তাহলে তিনি আর কখনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারবেন না। এর আগে ট্রাম্প বেশ কয়েকবার বলেছেন, ২০২৪ সালে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তাতে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।