শিরোনাম
◈ সন্ত্রাসী অপরাধে গ্রেপ্তারদেরও নিজেদের কর্মী দাবী করছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৪ জানুয়ারী, ২০২১, ১২:০৮ দুপুর
আপডেট : ১৪ জানুয়ারী, ২০২১, ১২:০৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রভাষ আমিন : বিএনপি জনগণের ক্ষোভকে সংগঠিত করতে পারেনি

প্রভাষ আমিন : মির্জা ফখরুল বলেছেন, গণঅভ্যুত্থান করতে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য দরকার। কিন্তু সেখানে বড় রকমের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। যেখানে সরকারবিরোধী বৃহত্তর ঐক্য দরকার, সেখানে সবাই আলগা আলগা। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় ঐক্যজোট আছে কাগজে-কলমে। নির্বাচনের আগে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কাগজে-কলমেও নেই। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যেখানে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা, সেখানে তারা হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। মির্জা ফখরুলের বাইরে শুধু নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নার কণ্ঠবিপ্লব শুনি আমরা। তিনিও গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্ন দেখেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন, এক লাখ লোক রাস্তায় নেমে সরকার হটিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেছেন, পুতুপুতু করে আন্দোলন হবে না। রাস্তায় নামতে হবে। কিন্তু সমস্যাটা হলো, কাকে রাস্তায় নামতে বলছেন তিনি। নিজে তো নামছেন না। মাহমুদুর রহমান মান্নার সংগঠনের নাম ‘নাগরিক ঐক্য’। কিন্তু তিনি নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ করতে পারেননি। সংগঠনে নেই ১০ জন লোক, তিনি লাখো লোকের গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্ন দেখেন। শুধু ডাক দিলে গণঅভ্যুত্থান হবে না। গণঅভ্যুত্থান করতে ‘গণ’ লাগবে। সেই ‘গণ’ নাগরিক ঐক্যে তো নেই-ই, বিএনপিও জনগণের ক্ষোভকে সংগঠিত করতে পারেনি। নয়াপল্টনে ব্রিফিং আর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে গণঅভ্যুত্থান হবে না। জনগণের কাছে যেতে হবে। কিন্তু সমস্যা হলো, গত ১৪ বছরে এই কাজটি বিএনপি একদমই করেনি। সরকারের ব্যর্থতা, দুঃশাসনে অতিষ্ঠ হলেও মানুষ বিএনপির ওপর ভরসা করতে পারছে না। তারচেয়ে বড় কথা হলো, অতীতের রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতায় অতিষ্ঠ মানুষ বিদ্যমান স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক ধরনের স্বস্তিতে আছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার- এগুলো বুদ্ধিজীবীদের ইস্যু। সাধারণ মানুষ এখনই রাস্তায় নেমে আওয়ামী লীগকে সরিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে, তেমন তাগিদ দেখা যাচ্ছে না।

তবে আন্দোলন কেন সফল হচ্ছে না, সেই প্রশ্নের উত্তরও মির্জা ফখরুল জানেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল। তারা জনগণকে ভোটের অধিকার বঞ্চিত করে, জোর করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতেই ভোট ডাকাতি করে একটি দখলদারি সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা দমনের মাধ্যমে জনগণের যে ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন গণতন্ত্রের জন্য, তাকে তারা দমন করার চেষ্টা করছে। তবে ইতিহাস প্রমাণ করে কখনই দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে মানুষের ন্যায়সঙ্গত দাবিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। বাংলাদেশে কখনও পারেনি। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি বছর আমাদের জন্য নতুন শক্তি সঞ্চয় হবে এবং ফ্যাসিস্ট সরকারকে আমরা পরাজিত করতে সক্ষম হবো।’ মির্জা ফখরুল বুঝদার লোক। তার মধ্যে একটা বুদ্ধিজীবীসুলভ ব্যাপার আছে। গণঅভ্যুত্থান ছাড়া সরকারকে উৎখাত করা যাবে না, এটা তিনি জানেন। গণঅভ্যুত্থান করতে জনগণের ঐক্য লাগবে, এটাও জানেন। তারমানে গণঅভ্যুত্থানের থিওরিতে তিনি পাস, কিন্তু সমস্যা হলো প্র্যাকটিক্যালে। জনগণ মাঠে নেই। তাই থিওরি বাদ দিয়ে জনগণের কাছে যান, নিজেদের অবস্থান তুলে ধরুন। আপনি যেমন জানেন, আমরাও জানি, জনগণের ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়