মাহিন সরকার : [২] সবুজ গালিচায় সাদা ধবধবে জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার স্বপ্ন নিয়ে যে কোনও আম্পায়ার ক্যারিয়ার শুরু করেন। ক্রিকেট মাঠের চিরচেনা সেই দৃশ্যে বাংলাদেশের আম্পায়ারদের অংশগ্রহণ সামান্যই।
[৩] আইসিসি বাংলাদেশের জন্য ভিন্ন পরিকল্পনা করেছে।
[৪] করোনার পরবর্তী সময়ে আইসিসির নিয়ম ছিল, বল মাঠে গড়ালে, ভ্রমণ বিধিনিষেধের কারণে টেস্ট ম্যাচে নিরপেক্ষ আম্পায়ারের পরিবর্তে স্থানীয় আম্পায়ার ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে এলিট প্যানেলের আম্পায়ারদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।
[৫] তবে যে দেশে এলিট প্যানেলের আম্পায়ার নেই সেখানে আন্তর্জাতিক প্যানেলের আম্পায়ার নিয়োগ করা হবে। করোনা পরবর্তীতে যেসব টেস্ট ম্যাচ হয়েছে সেগুলোতে স্থানীয় আম্পায়াররাই দায়িত্ব পালন করেছেন।
[৬] আইসিসির ১২ সদস্যের এলিট প্যানেলে বাংলাদেশের কোনও আম্পায়ার নেই। আইসিসির ইমার্জিং আম্পায়ার তালিকাতেও নেই বাংলাদেশের নাম। তবে আন্তর্জাতিক প্যানেলে রয়েছেন শরফউদ্দৌলা সৈকত, মাসুদুর রহমান মুকুল, তানবীর আহমেদ ও গাজী সোহেল। টেস্ট ম্যাচ কভার করতে চার আম্পায়ার বাধ্যতামূলক। মাঠে দুজন, টিভি আম্পায়ার ও চতুর্থ আম্পায়ার।
[৭] ফলে বাংলাদেশের চার আন্তর্জাতিক প্যানেলের আম্পায়ারের সুযোগ ছিল বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট সিরিজে দায়িত্ব পালনের। কিন্তু জানা গেছে, আইসিসি দুই টেস্ট পরিচালনার জন্য এলিট আম্পায়ার রিচার্ড কাটেলবারোহকে নিয়োগ দিয়েছে।
[৮] ইংলিশ এ আম্পায়ার শিগগিরিই বাংলাদেশে আসবেন। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে পারবেন। তবে তার সঙ্গে থাকতে পারবেন বাংলাদেশের যে কোনো একজন আম্পায়ার।
[৯] বাংলাদেশ থেকে আক্তার আহমেদ ও রুহুল নিয়ামুর রশিদ রাহুল আইসিসির আন্তর্জাতিক প্যানেল ভুক্ত ম্যাচ রেফারি। দেশের মাটিতে তাঁদের যেকোনো একজনকে দেখা যাবে ম্যাচ রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালনে।