সাঈদ তারেক: [ক] বেশ কয়েক বছর আগে দেশের দুই ‘আলোচিত’ ‘কমরেডে’র একত্রে হজ্ব ব্রত পালন করার কিছু ছবি দেখেছিলাম। তারা তখন রাষ্ট্রের গুরুদায়িত্ব পালনে রত। সর্বহারা বিপ্লবে ব্যর্থ হয়ে বা ক্ষ্যান্ত দিয়ে ক্ষমতার মধুমেহনে ব্যস্ত। ‘কমরেড’ বলা হয়, মার্ক্সবাদী বা মার্ক্সীয় দর্শনে বিশ্বাসীদের। সাধারনত এরা বামপন্থী হিসেবে পরিচিত হন। মার্ক্সবাদে ইশ্বরের কোনো অস্তিত্ব নেই। ধর্মবিশ্বাসকে এতে আফিমের সাথে তুলনা করা হয়েছে। ফলে যারা মার্ক্সবাদী হন তাদের নাস্তিক হতে হয়। কথিত এই দুই কমরেড সম্পর্কেও জানা ছিলো তারা নাস্তিক বা কোনো ধর্মে বিশ্বাস করেন না, প্রগতিশীল। সেই তারা যখন ‘প্রতিক্রিয়াশীল’দের দলে শামিল হয়ে হজ্বব্রত পালন করেন ধরে নেয়া যায় তাদের একটা ভন্ডামি। হয় মার্ক্সবাদী হওয়া, অথবা ধর্মীয় আচার পালন করা। কেউ বলতে পারেন দু’টোই। হতে পারে। কারণ মার্ক্সবাদী আর ধর্মবিশ্বাসী- দুটো একসঙ্গে হওয়া যায় না।
(খ) ’৭২ থেকে ’৭৫- প্রচণ্ডরকম ‘মুজিববিরোধী’ বা ‘মুজিববিদ্বেষী’দের একটি অংশকে দেখা যায় আওয়ামী লীগের চাইতেও বেশি ‘মুজিবভক্ত’ বা ‘মুজিবপ্রেমী’ হয়ে যেতে। হাল আমলে এই প্রবণতাটা একটু বেশিই যেন। মাঝেমাঝে বিভ্রান্ত হয়ে যাই। কারণ আসল মুজিবপ্রেমীদের দেখেছি ’৭৬ থেকে ’৯৭- যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলো না। এখনকার এই এতো এতো মুজিবভক্ত যে তখন কোথায় ছিলো! ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :