বিপ্লব পাল: আমার পজেটিভ চিন্তা করতেই বেশি ভাল্লাগে। অনেকেই তৃণমূল-বিজেপির যেমন খুশি ঝাঁপাও, টিভিতে ডিভোর্স ড্রামায় হতাশ। কিন্তু ভালো দিকটাও দেখুন। মমতা ব্যানার্জি বিজেপির চাপ খেয়ে সিঙ্গুরে শিল্প স্থাপনের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। বিজেপির চাপ খেয়ে, চপ শিল্প থেকে চট শিল্পে উঠেছেন-খারাপ কী? দুয়ারে সরকার থেকে নানান স্কিমের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। চাপ না থাকলে এটা হতো?
অন্যদিকে বিজেপি তার সমস্ত টিমটাই বাংলায় নামিয়ে দিয়েছে। স্বয়ং মোদি বিজেপির কর্মীদের রাজনৈতিক ট্রেনিং দিতে বাংলায় আসছেন। অমিত শাহ-সহ বাকি আরো সবাই বাংলার মাটি কামরে পড়ে আছেন। কিছু না হলেও দিল্লির নেতৃত্ব বাংলা অভাব অভিযোগ নিয়ে জানছেন, এতে বাংলার ভালোই হবে। গণতন্ত্রে এটা খারাপ কি? এই প্রতিযোগিতাই ত দরকার ছিল। বিজেপির যেসব ভক্ত মমতা মুন্ডপাত করেন-তারা একবার ও ভেবে দেখেছেন কি -যদি মমতার মতন একজন শক্তিশালী নেতা বাংলায় না থাকত-বিজেপির নেতারা দিল্লি থেকে বাংলার মাটিতে এই ভাবে ঘুরতেন?এই ভাবে বাংলাকে জানার চেষ্টা করতেন?
অন্যদিকে তৃণমূলের সমর্থকেরাও মানবেন, বিজেপি বাংলায় শক্তিশালী না হলে, গোষ্ঠিবাজির চোটে পার্টিটা সিপিএম হয়ে যেতো দ্রুত। আজকে বিজেপির সাথে কঠিন লড়াইয়ের জন্য এটলিস্ট একটা কমন অবজেক্টিভ তারা পাচ্ছেন। এই লড়াইটা না থাকলে, পার্টি ঐক্যবদ্ধ থাকতো?
আমি ১৯৮০-২০০০ পর্যন্ত বাংলায় যে রাজনীতি দেখেছি-তার থেকে ২০২১ অনেক অনেক ভালো। তখন সিপিএমের গদি হারানোর কোন ভয় ছিলো না। দিল্লি থেকে কংগ্রেস ম্যানেজ হয়ে যেতো। ক্ষতি হয়েছে বাংলার জনগণের। ফলে আজকে বাংলার জনগণ সিপিএম-কংগ্রেসকে স্পেন্ট ফোর্স বলে ছুঁড়ে ফেলে, নতুন আশা চান। গণতন্ত্রে এটাই কাম্য। ফেসবুক থেকে