শাহ্ আলী ফরহাদ: একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে যে ইউরাপ ও আমেরিকার চেয়ে বেশি দামে ভ্যাকসিন কিনবে বাংলাদেশ। তাদের লক্ষ্য দেখানো এই প্রক্রিয়ায় নিশ্চয়ই দুর্নীতির সুযোগ রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, আমরা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাতে জানতে পারছি যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ইউরোপীয় ইউনিয়নে বিক্রি হবে ২ দশমিক ১৮ ডলার। আমেরিকা কিনবে ৪ ডলারে। বাংলাদেশ প্রতি ডোজ কিনবে ৫ ডলারে।
এখানে প্রথমেই যা লক্ষ্য করতে হবে তা হলো অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন-সহ অন্যান্য সকল বড় ভ্যাকসিন উদ্যোগের পেছনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকেই মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। সুতরাং তাদের জন্য তুলনামূলক কম মূল্য ধরা হয়েছে কারণ সেই বিষয়ে কোম্পানিগুলোর সাথে আগেই একটি সমঝোতা ছিল। বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশ কিন্তু ভ্যাকসিন উৎপাদনের শুরুতে কোনো বিনিয়োগ করেনি।
দ্বিতীয়ত, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন উৎপাদন করার দায়িত্বে আছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। গত শনিবার ভারতের পত্রিকা দ্য হিন্দুর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন ভারতে প্রতি ডোজ বিক্রি হবে ১ হাজার রুপি করে। অর্থাৎ বাংলাদেশ কিন্তু ভারত থেকেও কম দামে পাচ্ছে এই ভ্যাকসিন।
সুতরাং, দেশবিরোধী শক্তির গুজব থেকে সাবধান থাকুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট সবাই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সময়মতোন সবার কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছানোর। দেশের মানুষকে সুরক্ষিত করাই এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য।
সূত্র: সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।