শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৮:৪৪ সকাল
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৮:৪৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কামরুল হাসান মামুন: সরকারও শিক্ষায় বিনিয়োগ করে না, জিডিপির মাত্র ২.১ শতাংশ বরাদ্দ দেয়

কামরুল হাসান মামুন: [১] আমেরিকান billionaire Stephen Schwaryman ২০১৯ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৫০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড দান করেন।

[২] দুজন ব্রিটিশ ব্যবসায়ী David and Simon Reuben ৮০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড দান করেন।

[৩] ব্রিটিশ-আমেরিকান নাগরিক Leonard Blavatnik ৭৫ মিলিয়ন পাউন্ড অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দান করেন।

[৪] স্বামী-স্ত্রী Bill and Weslie Janeway কেমব্রিজ বিববিদ্যালয়কে ১৭.৫ মিলিয়ন পাউন্ড দান করেন।

[৫] ব্রিটিশ ফিলানথ্রপিস্ট David and Claudia Harding কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড দান করেন।
এরকম প্রতিবছর আরও অনেকে হার্ভার্ড, এমআইটি, কেমব্রিজ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে মানুষকে বিনা স্বার্থে কেবল শিক্ষা ও গবেষণার জন্য দান করেন। উচ্চশিক্ষা অনেক ব্যয়বহুল। আমেরিকার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে গড়ে টিউশন ফি হলো ৪০ হাজার ডলার। তারপরেও এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানুষ অর্থসম্পদ দান করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বড় দানের কথাই সম্প্রতি শুনেছি। সেটি হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সাবেক ছাত্র প্রায় ২৫ কোটি টাকা দান করেন। সেটি দিয়ে তার নামে একটি ভবন তৈরি করা হয়। অথচ এই দেশে কতো বড় বড় ব্যবসায়ী আছে। কাউকে কোনোদিন বড় অর্থ দান করতে শুনেছেন? সামিট, বেক্সিমকো, স্কয়ার, হামিমসহ অসংখ্য বড় বড় কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান আছে এই দেশে। তারা বরং অর্থ পাচার করে কীভাবে অন্য দেশে ছেলেমেয়েদের পাঠাবেন সেই ধান্দায় থাকেন। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় দান করার কেউ নেই। তবে শিক্ষালয়ে বিনিয়োগ করে মানুষকে চুষে আরও অর্থ কীভাবে কামানো যায় সেইটা তারা খুব ভালোভাবে জানে।

সরকারও শিক্ষায় বিনিয়োগ করে না। যেখানে জিডিপির ৫.৫ শতাংশ শিক্ষায় বরাদ্দ দেওয়া উচিত সেখানে মাত্র ২.১ শতাংশ বরাদ্দ দেয়। আর উচ্চ শিক্ষায় বরাদ্দ যা দেওয়া হয় তার সিংহ ভাগ খরচ হয়ে যায় অবকাঠামো নির্মাণ আর শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন দিতেই। শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বিনিয়োগ প্রায় নেই বললেই চলে। তাহলে এই দেশ কীভাবে শিক্ষায় সামনে এগো। যা হচ্ছে শিক্ষার নামে সার্টিফিকেট বিতরণ চলছে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়