সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ধর্মীয় উগ্রবাদ ফ্রাংকেনস্টাইনের দানবের মতো সুতরাং এখন যাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন একদিন তাদের আঘাতে আপনাদের জর্জরিত হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ হোক তা মনে মনে বিএনপিও চায় না। রাজনৈতিক কারনেই তাদের কোন আগ্রহ নেই কারণ বঙ্গবন্ধুর হত্যার নেপথ্যে তাদের যোগসাজশে খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছিলো।
[৩] বিএনপি ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলতে চায় না, এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশের মুক্তিযুদ্ধ,মুক্তিযুদ্ধের চেতনা,সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে যখন প্রতিক্রিয়াশীল চক্র চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে তখনও বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যে কথা বলতে চায় না। প্রকারান্তরে বিএনপি তাদের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অবস্থানকেই স্পষ্ট করেছে।
[৪] বিএনপি প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অপতৎপরতাকেই সমর্থন দিচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা ভিতরে ভিতরে উস্কে দিচ্ছে আবার পৃষ্ঠপোষকতাও করছে, সুতরাং বিএনপি মহাসচিব কোন মুখে উগ্রবাদীদের বিরোধিতা করবেন? দেশের রাজনীতি এখন দুই ধারায় বিভক্ত, একদিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রাজনীতি, অপরদিকে দেশের অব্যাহত এগিয়ে যাওয়ার গতিকে রুদ্ধ করার রাজনীতি। একদিকে ৭১'এর অসাম্প্রদায়িক চেতনা, অপরটি ৪৭'এর সাম্প্রদায়িক চেতনা।
[৫] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিজ্ঞান মনোস্ক প্রজন্ম তৈরির নিরলস প্রয়াস চলছে তখন চিরাচরিত পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশকে পিছিয়ে দেয়ার এবং অস্থিতিশীলতা তৈরির অপচেষ্টা চালানে হচ্ছে।মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী যে রাজনৈতিক বলয় রয়েছে দেশে, তার প্রকাশ্য- অপ্রকাশ্য পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপির।
[৬] তিনি বলেন, ভাস্কর্য ইস্যুতে বিএনপির বর্ণচোরা রাজনীতি জাতির কাছে এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে।লাখো শহীদের অমর বীরত্ব গাঁথায় নির্মিত এ দেশ নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র জনগণ সফল হতে দিবে না।
[৭] বুধবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে ব্রিফিং কালে তিনি এসব কথা বলেন।