রাশিদুল ইসলাম : [২] জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের কাছে লেখা এক চিঠিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ইসরায়েলের অপরাধী তৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর সীমাহীন অত্যাচার, নির্যাতন ও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার এ আহ্বান জানান। ফারস
[৩] রুহানি বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জবরদখল করে ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত করা, নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা, গাজা উপত্যকার ওপর করোনা পরিস্থিতির কঠিন দিনগুলোতে অবরোধ আরোপ করে রাখা, এবং গাজাবাসীর কাছে ন্যুনতম চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দিতে বাধা দেওয়া- মানবতাবিরোধী অপরাধ ছাড়া আর কিছু নয়।
[৪] ইরানের প্রেসিডেন্ট তার বার্তায় বলেন, এসব ঘটনা শুধু ইসরায়েল-ফিলিস্তিন পরিস্থিতিকেই শোচনীয় করছে না সেইসঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিরাপত্তা সংকট তৈরি করছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কিছু স্থায়ী সদস্য দেশের পরিপূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে ইসরায়েলের ধৃষ্টতা দিন দিন বেড়ে চলেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
[৫] এদিকে ইরানের পার্লামেন্টের বোর্ড অব ডাইরেক্টর্সের সদস্য আহমাদ আমিরাবাদি ফারাহানি বলেছেন, তার দেশের পরমাণু স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করতে আসা জাতিসংঘের বেশিরভাগ পরিদর্শক যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচর। ছদ্মবেশী এসব পরিদর্শক ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীদের তথ্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র হাতে তুলে দিয়েছে।
[৬] ইরানপ্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আইনপ্রণেতারা দেশবিরোধী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ সংক্রান্ত একটি বিল অনুমোদন করেন যেটিতে আইএইএ’র পরিদর্শকদের দেশটিতে প্রবেশাধিকার সীমিত করার কথা বলা হয়েছে।
তারা বলছেন, এসব পরিদর্শকদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইরানের শত্রুরা একের পর এক এদেশের পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা করে যাচ্ছে।
[৭] আইএইএ’র মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি ইরানি পার্লামেন্টের বিল সম্পর্কে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে পরিদর্শন বন্ধ হয়ে গেলে তাতে কারো লাভ হবে না। গ্রোসির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে ইরানের সিনিয়র সংসদ সদস্য ফারাহানি বলেন, তার দেশ এতদিন স্বেচ্ছায় এনপিটি চুক্তির সম্পূরক প্রটোকল বাস্তবায়ন করে আসছিল বলে জাতিসংঘের পরিদর্শকরা অবাধে ইরানে প্রবেশাধিকার পেয়েছেন। তিনি বলেন, কিন্তু এসব পরিদর্শকের বেশিরভাগ ছিলেন গুপ্তচর যাদের অনেকে ধরা পড়েছেন। কাজেই এ ধরনের গুপ্তচরদের জন্য ইরান তার পরমাণু স্থাপনাগুলো উন্মুক্ত করে দিতে পারে না বলেই আমরা সম্পূরক প্রটোকল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার দাবি তুলেছি।