কামাল আহমেদ : কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে বিশ^ যখন সম্ভাব্য চার থেকে পাঁচটি টিকার কার্যকারিতার সাফল্য উদ্ভাবন করছে, তখন সবার মনেই সহজ একটি প্রশ্ন জন্ম নিচ্ছে। আর তা হলো, কবে এটি আমার কাজে আসবে? ইউরোপ-আমেরিকায় জনপ্রত্যাশা জোরালো হচ্ছে যে চলতি বছরই টিকা পাওয়া যাবে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলো কি একইভাবে আশাবাদী হতে পারে? নিষ্ঠুর সত্য হচ্ছে, না।
সেটা হবে অবাস্তব প্রত্যাশা। এখন পর্যন্ত যেকোনো ন্যায়সংগত বিশ্বব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি, এই টিকার বিলিবণ্টনে তা আবারও প্রমাণিত হতে যাচ্ছে। টিকা কেনার জন্য দাতা দেশ ও সংস্থার কাছে ঋণ চাওয়া হয়েছে এবং মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে তিন কোটি টিকা কেনার চুক্তিও হয়েছে।
সবচেয়ে কাছের বন্ধু প্রতিবেশী দেশ থেকে টিকা সংগ্রহে তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন কেন হলো, তা মোটেও স্পষ্ট নয়। সেরাম ইনস্টিটিউটের মতো উৎপাদনে অংশ নেওয়ার সুযোগ যে আমাদের ছিলো না, তাও বিশ্বাস করা কঠিন। প্রচলিত অনেক রোগের টিকাই যেহেতু আমাদের দেশে তৈরি হয়, সেহেতু কিছু বিনিয়োগ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করলে নিশ্চয়ই তা সম্ভব হতো। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, কোভিড শিগগিরই নির্মূল হবে না এবং অন্যান্য ফ্লুর মতোই এর জন্য ফি বছরই টিকার প্রয়োজন হবে।
টিকার জন্য তাই অন্যদের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজেদের সক্ষমতা তৈরিই কি শ্রেয় নয়? সর্ব সম্প্রতি সানোফি-জিএসকের টিকার পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য বিএসএমএমইউ যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার পরিণতি যেন চীনা টিকার মতো না হয়। উদ্ভাবন ও উৎপাদনে অংশীদার হওয়াও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
আপনার মতামত লিখুন :