ইসমাঈল ইমু: [২] ইঞ্জিন সংকটে ধুঁকছে রেলওয়ে। ঘটছে শিডিউল বিপর্যয়, বাড়ছে দুর্ঘটনা। স্বাধীনতার সময় রেল বহরে ৪৮৬টি ইঞ্জিন থাকলেও কমে দাঁড়িয়েছে ২৭৩টিতে। সংকট সমাধানে ব্রডগেজ ইঞ্জিন কেনার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
[৩] রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, সংকট কাটাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪০টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন আনা হবে। যা বহরে যুক্ত হলে সেবার পাশাপাশি বাড়বে রেলের গতি, কমবে দুর্ঘটনা। প্রায় ১১ বছর ধরে আটকে আছে ৭০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন কেনার পরিকল্পনা। ২৭৩টি রেল ইঞ্জিন দিয়ে ৩৪৭টি যাত্রীবাহী এবং বেশ কয়েকটি পণ্য ও তেলবাহী ট্রেন চলে।
[৪] অভ্যন্তরীণ পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে অনেকের কাছেই সবচেয়ে আরামদায়ক মাধ্যম ট্রেন। এ পথে তুলনামূলকভাবে দুর্ঘটনার সংখ্যাও অনেক কম। তবে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম ইঞ্জিন থাকায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে রেল সেবা। শিডিউল বিপর্যয় বাড়তে থাকায় নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না যাত্রীরা।
[৫] রেলওয়ের ৭৮ ভাগ ইঞ্জিনের মেয়াদ শেষ। এর মধ্যে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও ২০ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে ১৯৫টি ইঞ্জিন। ফলে ট্রেন ইঞ্জিন বিকল হওয়া এখন অনেকটাই স্বাভাবিক ঘটনা। তারপরও মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন দিয়ে ভয়াবহ ঝুঁকি নিয়েই চলছে ট্রেন। রেলওয়ে বলছে, কয়েক বছরে প্রায় ৪০০ যাত্রীবাহী কোচ আনা হয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় কেনা হয়নি ইঞ্জিন। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব