মুনশি জাকির হোসেন: অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিবর্তে অর্থনীতি ধ্বংস করেও শুধু উগ্র জাতীয়তাবাদের নেশায় বুঁদ করে একটি জাতি রাষ্ট্রকে যুগের পর যুগ শাসন ক্ষমতা জারি রাখার জলন্ত উদহারণ হলো জিম্বাবায়ে, এবং রবার্ট মুগাবে হলো নিকট অতীতের সেই খলচরিত্র। সমসাময়িক সময়ে একই কাজ করছে ভারতের বিজেপি/নরেন্দ্র মোদী এবং তুরস্কের একে পার্টি এরদোগান। এরকম আরো উদহারণ আছে। আবার, ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন করেও একটি দেশ/জাতি রাষ্ট্রকে টিকিয়ে রাখতে না পারার উদহারণ হিসেবে ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়ার নাম সমসাময়িক উদহারণ। যেখানে পশ্চিমা বিশ^ তাদের তথা কথিত গণতন্ত্র রপ্তানি করার জন্য মিডিওক্র্যাসি চালিয়েছিলো।
দ্রুত অগ্রসরমান থাইল্যান্ড হঠাৎ করে থেমে গেলো থাই সেনা অভ্যূত্থানে! মালোয়েশিয়া থেমে গিয়েছিল মাহথির যুগের পর পরই। যদিও মালোয়েশিয়া এবং লি কুয়ানের সিংগাপুর সময়মতো মহাসড়কে উঠে গিয়েছিল। হংকংয়ের সাজানো গোছানো বাগান এখন লন্ডভন্ড। আবার, চীন শুধু ডেমোগ্র্যাফিক ডিভেডেন্ট কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সামনে রেখে দশকের পর দশক পশ্চিমা বিশ্বের অব্যাহত হুমকি, অবরোধ উপেক্ষা করে এখন বিশ্বের অর্থনৈতিক গডফাদারে পরিণত। চীনের হাতে এখন অফুরন্ত পুঁজি, যেটি দাদন ব্যবসার মতো লোন দিয়ে অনুন্নত বিশ্বকে রীতিমত কলোনি রাষ্ট্র বানানোর মধ্যধাপে পৌছে গেছে।
বাংলাদেশ বহুবিদ কারণে এখন চরম ক্রান্তিকালে কিংবা ট্রান্জিশনাল পিরিয়ডের মধ্যভাগে অবস্থান করছে। এখানকার ধর্মান্ধ জনগোষ্ঠী যেমন চ্যালেঞ্জ তেমনি বিদেশি বিনিয়োগগুলোও একেকটি চ্যালেঞ্জ। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো পলিটিক্যাল ইসলামের দ্বারা বিশাল জনগোষ্ঠীর মস্তিষ্ক বিকৃত হওয়া। যেখানে উঁচু তলার শিক্ষিত গোত্র যেমন আছে তেমনি মধ্যবিত্ত শ্রেণি আছে, মাদ্রাসা আছে, আওয়ামী বিরোধী সমবায় সমিতি আছে। তীব্র প্রতিক্রিয়াশীল বাম, বামাতি চক্রও আছে।
এই বিশাল সমস্যার মূলে আছে রাজনৈতিকভাবে একটি জনপদের আপামর জনগণকে শিক্ষিত করতে না পারা। আর এই কাজ করার দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগের, ছাত্রলীগের। সাংগঠনিকভাবে একটি রাজনৈতিক দল যদি সাংগঠনিক চর্চার মধ্যে না থাকে, তাহলে সেখানে সাধারণ মানুষকে রাজনৈতিকভাবে শিক্ষিত করে তোলা একটি অসম্ভবপর কাজ। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :