উত্তম কুমার: [২] পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ভারী বর্ষণ ও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে খাল-বিল পানিতে টইটুম্বুর হয়ে গেছে। অতিবৃষ্টির পানিতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের সবজি ক্ষেত তলিয়ে রয়েছে। এর ফলে ওইসব সবজি ক্ষেত নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

[৩] এছাড়া শতাধিক পুকুর সহ মাছের ঘের ডুবে ভেসে গেছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার পৌরশহরের বিভিন্ন দোকান-পাট এবং উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকান-পাট গুলোর অধিকাংশ ছিল বন্ধ অবস্থায়। মোট কথা দু’দিনের এ বর্ষনে জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

[৪] স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত ২৫৪ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। এ বৃষ্টি আরো দুই থেকে তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে কলাপাড়া উপজেলার রাডার ষ্টেশন সূত্রে জানা গেছে।

[৫] উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ নীলগঞ্জ গ্রামের মাছ চাষী মো.জুয়েল সিকদার বলেন, অতি বর্ষণে তার মাছের ঘের সহ শীতকালীন সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যা পুষিয়ে উঠতে তাকে হিমশিম খেতে হবে বলে তিনি জানান।

[৬] মৎস চাষী মো. মোশারেফ হোসেন জানান, এতো পরিমান বৃষ্টি এ বছর বর্ষা মৌসুমেও হয়নি। তাদের ঘেরে বিভিন্ন প্রজাতির অন্ততঃ ১০ লক্ষাধিক টাকার মাছ ছিল। পানিতে পানিতে টইটুম্বুর হয়ে যাওয়ায় ঘেরের অধিকাংশ মাছ ভেসে গেছে বলে তিনি ধারনা করছেন।

[৭] সবজি চাষী মোকলেস মিয়া জানান, এর আগের বৃষ্টিতে যেমন ক্ষতি হয়েছে,এ বৃষ্টিতে তার চেয়েও বেশী ক্ষতি হয়েছে। তিনি স্থানীয় একটি এনজিও থেকে লোন নিয়ে সবজি চাষাবাদ করেন, সবজি বিক্রির টাকায় কিস্তিতে এ লোন পরিশোধ করতেন। এ বৃষ্টির প্রভাবে আর্থিক লোকসানে পড়বেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

[৮] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, পানি সড়ে গেলে আশা করি তেমন কোন ক্ষতি সাধন হবেনা। সম্পাদনা: সাদেক আলী