সমীরণ রায় : [২] শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের ওয়েবটিম আয়োজিত ওয়েবিনারে নিজের ছাত্রের মেধা ও কোমল মনের প্রশংসা করে তার গৃহশিক্ষিকা গীতালি দাশগুপ্তা বলেন, শেখ রাসেলকে একবার যেটা শিখিয়েছি, তা সে কোনোদিন ভোলেনি।
[৩] গীতালি দাশগুপ্তা বলেন, সামনে পরীক্ষা থাকায় শেখ রাসেলকে পড়াবো না বলে জানিয়ে দেই। এই কথা শুনে (কাকিমা) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বললেন-৩০ মিনিট? বললাম, তাও সম্ভব না। তিনি আবার বললেন-২০ মিনিট? আমি চুপ করে রইলাম, মানে ২০ মিনিটও সম্ভব না। তারপর তিনি আবারও বললেন-১৫ মিনিট? তখন আমার কাছে মনে হলো, একজন মা তার ছেলের জন্য মাত্র ১৫ মিনিট সময় চাইছেন, এই সময়টুকু তো দেওয়া উচিত। আমি চেঞ্জ হয়ে গেলাম।
[৪] তিনি বলেন, শেখ রাসেল একবার বলে-আমি আর অংক করবো না! আমি প্রশ্ন করলে বলে-আমার ইচ্ছে করে না। এরপর আমি চিন্তা করলাম, কীভাবে শেখানো যায়। বললাম যে, তুমি স্কুলে চকলেট নিয়ে যাও? সে বললো-হ্যাঁ, বললাম, একা একা খাও তাই না?, রাসেল বললো-নাহ, একা খাই না, বন্ধুদের দিয়ে খাই। বললাম, এই যে তুমি দুইটা অংক রেখে দিলে, তারা কষ্ট পাবে না? রাসেল বললো-কেন কষ্ট পাবে? ওরা কী কথা বলতে পারে? পরে রাসেল দুটো অংক করে বলে-এখন তো আর ওরা রাগ করবে না। এখন তো আর অংকের দুঃখ নেই।
[৬] গত শনিবার রাতে এক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
[৭] এতে আরও বক্তব্য রাখেন কথাসাহিত্যিক ও শিশু একাডেমির সাবেক চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন, অভিনেতা পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমেদ প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :