হাসান মোর্শেদ: আগে আমার ধারণা ছিলো, বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের গৌরবজ্জ্বল ভূমিকা সম্পর্কে সবচেয়ে অজ্ঞ ছাত্রলীগের কর্মীরা। মুক্তিবাহিনীতে ছাত্রলীগের কর্মী কেমন ছিলো, বিএলএফ নামে ছাত্রলীগের আলাদা গেরিলাবাহিনী ছিলো, কোথায় কোথায় তারা অপারেশন করেছেন, কতোজন শহীদ হয়েছেন- এসব ছাত্রলীগের কাছে ডকুমেন্টেড তো নাই-ই, জানেও খুব কম। এখন দেখি, যারা জ্ঞানী ভাব নিয়ে থাকে সেই ছাত্র ইউনিয়ন কর্মীদেরও মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের ভূমিকা নিয়ে প্রপাগান্ডার বাইরে সত্যনিষ্ঠ জানা খুবই কম। বেশিরভাগই গলাবাজি আর আওয়ামী লীগকে দোষারোপ। ন্যাপ-কমিউনিস্ট-ছাত্র ইউনিয়নের স্পেশাল গেরিলা দল নিয়ে তেমন কিছুই জানে না এরা, কোন প্রেক্ষিতে গঠিত হয়েছিলো, কোথায় কতোজন প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, কোন কোন অপারেশন ছিলো তাদের তথ্য পাওয়া যাবে না।
টেনে টুনে এক বেতিয়ারার কাহিনি বলে। তাও ভুলভাল। ইয়াফেস ওসমানের নাম উচ্চারণ করবে না, বলবে মনজুরুল আহসান খানের কথা। এটা কি ইয়াফেস ওসমান আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার অপরাধে? মনজুরুল আহসান খান বেতিয়ারায় ছিলেন না, কোনো ফিল্ড অপারেশনে ছিলেন না। আবার খেটে খুটে, মাঠে ঘাটে ঘুরে আমি যদি লিখি তখন বড় বড় বামপন্থীরা আমাকে হুমকি দেবেন ইনবক্সে, ‘আপনাকে দেখে নেওয়া হবে, আপনার মুখোশ খুলে দেওয়া হবে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করেন? আপনে আওয়ামী লীগের বেস্ট পার্ট, আমরা আঘাত করবো’ মূর্খতার আস্ফালন এমনিতেই ভয়াবহ। সেই সাথে যদি জ্ঞানের ছদ্মবেশ থাকে তাহলে এ বড় বিপর্যস্ত অবস্থা। ফেসবুক থেকে