শওগাত আলী সাগর: বাংলাদেশে এক সময় এসিড সন্ত্রাস ভয়াবহ হয়ে উঠেছিলো। এখন আর এসিড সন্ত্রাসের কথা শোনা যায় না তেমন একটা। এসিড সন্ত্রাস নাকি এখন আর নেই বাংলাদেশে। কীভাবে সম্ভব হলো? এসিড নিয়ে কী তখন রাস্তায় আন্দোলন হতো, মনে পড়ে না। তখন ফেসবুক ছিলো না। এতো অনলাইন মিডিয়া, এতো টেলিভিশন চ্যানেল, এতো পত্রিকা ছিলো না। তবু বাংলাদেশের এসিড সন্ত্রাস কীভাবে একেবারে প্রায় ‘নেই’ হয়ে গেলো। মনে পড়ে তখন এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি সংস্থা গড়ে উঠেছিলো ঢাকায়। সংস্থাটি এসিড ভিক্টিমদের নিয়ে কাজ করতো। পরে প্রথমআলো এসিড বিরোধী আন্দোলনে শামিল হয়। তারা তহবিল গঠন করেছিলো, এসিড ভিক্টিমদের সাহায্য করার জন্য।
জেলায় জেলায় সচেতনতামূলক নানা অনুষ্ঠান করতো প্রথমআলো। এসিড ভিক্টিমদের চিকিৎসা দিতে দিতে ডা. সামন্ত লাল সেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে বার্ন ইউনিটই করে ফেললেন। এসিড সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কেবল কাজই হয়েছে তখন। তখন এতো টিভি চ্যানেল, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ফেসবুক এতোকিছু ছিলো না। এসিড সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কী রাস্তায় আন্দোলন ছিলো, মনে পড়ে না। তবু এসিড সন্ত্রাস বন্ধ হয়ে গেছে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে এখন রাস্তায় আন্দোলন হয়, ফেসবুকে ঝড় উঠে, টেলিভিশনে টেলিভিশনে সচিত্র প্রতিবেদন, টকশোতে। অথচ ধর্ষণ থামে না। সমস্যাটা কোথায় তা হলে? এসিড সন্ত্রাস বন্ধে তখন কাজ হতো, এখন প্রতিবাদ হয়, আন্দোলন হয়। এখন এসিড সন্ত্রাস নেই, ধর্ষণ-যৌনসন্ত্রাস থামছেই না। ফেসবুক থেকে