রাজু চৌধুরী: [২] বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব প্রবারণার অন্যতম আকর্ষণ সন্ধ্যার আকাশে ফানুস উড়ানো। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরাআশ্বিনী পূর্ণিমা বা প্রবারণা পূর্ণিমায় এই ফানুস উৎসব করে থাকে । বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বৌদ্ধরা বৃহস্পতিবার ১ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন করেন।
[৩] চট্টগ্রামে এবারও ডিসি হিলসংলগ্ন চট্টগ্রাম বৌদ্ধমন্দিরে প্রবারণার অন্যতম আকর্ষণ ছিল বিভিন্ন ধরনের ফানুস। নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারে একটা ছিল ধর্ষণবিরোধী লিখাসম্বলিত ফানুস, যেটাতে ইংরেজিতে লেখা ছিল ‘আমরা ধর্ষণ মুক্ত বাংলাদেশ চাই’। সীবলী সংগঠনের পক্ষ থেকে উড়ানো হয় এই বিশাল আকারের ফানুসটি। সংগঠকরা জানান, সারাদেশে অব্যাহত ধর্ষণ এর বিরুদ্ধে সচেতনা তৈরিতে তাদের এই চেষ্টা। এই ফানুস ছাড়াও সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি দূর করতে সচেতনতা মূলক বিভিন্ন লিখাও ছিল বৌদ্ধমন্দিরে।
[৪] সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ফানুস উৎসবের উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান। এসময় তিনি উপস্থিত সবার মধ্যে করোনা সচেতনতার জন্য এক হাজার মাস্ক বিতরণ করেছেন।
[৫] বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানান।
[৬] চরকানাই অমিতাভ সংস্থার সভাপতি রনি চৌধুরী বলেন, সরকারি বিধিনিষেধ মেনে এবারে স্বল্প সময়ে ফানুস উত্তোলন করা হয়। এই করোনা পরিস্থিতিতে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় এবং নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সুশৃংখলভাবে প্রবারণা উদযাপন সম্পন্ন হয়েছে। সেজন্য তিনি প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।