রাহুল রাজ: [২] রাত পোহালেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) এজিএম ও নির্বাচন। দেশের সব ফুটবলামোদীদের নজর থাকবে আজ এই নির্বাচনের দিকে। কৌতুহলের কেন্দ্রবিন্দু সভাপতি পদে। কাজী মো. সালাউদ্দিন চতুর্থবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হবেন? নাকি শফিকুল ইসলাম মানিক বা বাদল রায়ের কেউ জিতে নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেবেন দেশের ফুটবলে?
[৩] দেশ দিন পর্যন্ত প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটতে দেখা গেছে। ভোটাররাও শেষ পর্যন্ত পক্ষের দিকে ভিড়বেন তা জানা যাবে ভোট গ্রহন শেষে।
[৪] তবে বড় চেয়ারে বসার জন্য যারা আছেন, তাদের টেনশনটাও বেশি। সভাপতি প্রার্থী কাজী মো. সালাউদ্দিন শুরু থেকেই বলে আসছেন, ‘জয়ের আত্মবিশ্বাস না থাকলে তো নির্বাচনে দাঁড়াতাম না।’
[৫] ভোটের আগের শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি জানান, বিগত ১২ বছর আমি ফুটবলের জন্য কাজ করেছি। সেটা বিচার করে কাউন্সিলররা আমাকে আবার সুযোগ দেবেন বলেই বিশ্বাস। আমি তাদের কাছে চতুর্থবারের মতো সে সুযোগ চাচ্ছি।’
[৬] কাজী মো. সালাউদ্দিনের দুই প্রতিপক্ষের মধ্যে ভোটের মাঠে সক্রিয় শফিকুল ইসলাম মানিক। তিনি এককভাবে ভোট করছেন, ইশতেহার দিয়েছেন। ভোটারদের কাছে তাকে জয়ী করার অনুরোধ পৌঁছিয়েছেন। শফিকুল ইসলাম মানিক বলেছেন, ‘আমার আত্মবিশ্বাস আছে। আমি ভোটারদের কাছে যে প্রতিশ্রæতি দিয়েছি, তারা যদি সেগুলো মূল্যায়ন করে
[৭] আমাকে বিজয়ী করেন তাহলে প্রতিটি প্রতিশ্রæতি আমি বাস্তবায়ন করবো। আশা করি, ভোটাররা আমাকে বিজয়ী করে একবার পরীক্ষা করে দেখবেন।’
[৮] সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েও ভোটের মাঠে প্রকাশ্যে নেই বাদল রায়। তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন। নির্ধারিত সময়ে না করায় তা গৃহীত হয়নি। পরে সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। সবকিছুর পরও তিনি সভাপতি পদে বৈধ প্রার্থী। তার প্রধান লক্ষ্য সভাপতি পদে পরিবর্তন আনা। তিনিসহ কাজী মো. সালাউদ্দিনের দুই প্রতিদ্ব›দ্বী। কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে তার আহবান পরিবর্তন আনা। সেটা যাকেই ভোট দিক তারা।
দিন শেষে বিজয় মালা কার গলায় উঠবে সেই প্রশ্নের উত্তর সময়ই বলে দেবে।