রাশিদুল ইসলাম : [২] বিজ্ঞানীরা একে বলছেন সুপার এনজাইম। পোর্টসমাউথ বিশ^বিদ্যালয়ের এক দল গবেষক জানান আগের পেটেস ধরনের প্লাস্টিক খাওয়া এনজাইমের সঙ্গে নতুন আবিস্কৃত এনজাইমটির ডিএনএ সংযুক্ত করার পর দেখা গেছে তা এত দ্রুত প্লাস্টিক গিলে খাচ্ছে। সিএনএন
[৩] এই সুপার এনজাইম প্লাস্টিকের তৈরি পানির বোতল, কার্পেট ও পোশাকে ব্যবহৃত সাধারণ থার্মোপ্লাস্টিককে হজম করে ফেলতে পারে। কিন্তু এনজাইম ছাড়া এধরনের প্লাস্টিক বিনষ্ট হতে শতবছর সময় নেয় কিন্তু সুপার এনজাইম কয়েক ঘন্টায় এর অবকাঠামো ভেঙ্গে দিতে পারে।
[৪] সেন্টার ফর এনজাইম ইনোভেশনের পরিচালক জন ম্যাকগিহান বলেন এই সুপার এনজাইম প্লাস্টিক দূষণ ও এর পুনর্ব্যবহার কমাতে দারুণ সহায়তা করবে। ধীরে ধীরে এনজাইমটি প্লাস্টিক খেয়ে ফেললেও বা বাণিজ্যিকভাবে তা লাভজনক করতে আরো সময় লাগলেও এর প্লাস্টিক বিনষ্ট করার ক্ষমতা দেখে আমরা বিস্মিত।
[৫] তিনি বলেন গবেষকরা এ নিয়ে আরো গবেষণা করছে যাতে ব্যাপক জালানি পুড়িয়ে নতুন প্লাস্টিক তৈরি করতে না হয় এবং প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার করতে না হয়। নতুন ধরনের এনজাইমের গঠন পরখ করতে সূর্যের চেয়ে ১০ বিলিয়ন গুণ বেশি রঞ্জনরশ্মি ব্যবহার করা হয়।
[৬] বিশ্বে বর্তমান হারে প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়তে থাকলে ২০৪০ সাল নাগাদ তা তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিবছর সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণের পরিমান দাঁড়াবে ২৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন। যা বিশ্বের উপকূল বরাবরা প্রতিমিটারে ৫০ কিলোগ্রামের সমান। তবে পুনর্ববহার করে এ দূষণ ৩১ থেকে ৪৫ শতাংশ কমিয়ে আনা যায়।
আপনার মতামত লিখুন :