শিরোনাম
◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান

প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:৪২ সকাল
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:৪২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পলি শাহনাজ: নারীরা ড্রাইভিং-এ এগিয়ে এলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে

পলি শাহনাজ: প্রসংগ ড্রাইভিং! করোনাকালে ড্রাইভিং শেখাটা বেশ কাজে লাগছে। ২০০৬/৭! ধানমন্ডিতে বাচ্চাদের স্কুলে ঢুকিয়ে দিয়ে সময় হাতে থাকত ৩/৪ ঘন্টা। ম্যাপল লিফ স্কুলের কয়েকজন অভিভাবকের সংগে বন্ধুত্ব হয়ে গেল। ছুটি পর্যন্ত স্কুল গেটে অপেক্ষা না করে আমরা ধানমন্ডির অলি গলি ঘুরতাম, স্টারে নাস্তা খেতাম, ১০এ হারমনি স্পা'য় সময় কাটাতাম। বিউটিশিয়ান রাহিমা সুলতানা রিতার গাছপ্রীতি ছিল দেখার মত। থাইল্যান্ডের কিছু অদ্ভুত কালেকশন ছিল। বড় বড় চাড়ার মধ্যে পানিতে ভাসত পান পাতার মত লতাপাতা, শাপলা। বাড়ির গেটে দিয়ে ঢুকেই নজর কাড়ত তার গড়া মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। পার্লারের মেঝে, টেবিলে, দেয়ালে ঝুলত অনেক ধরনের গাছ, মানিপ্লান্ট। রিতা ম্যাডাম ঘুরে ঘুরে সব দেখাতেন।

শুধু পার্লার না! শিখলাম কেক তৈরি, লালমাটিয়ার সাইফুর'স এ ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ কোর্স, ধানমন্ডির ওম্যান কমপ্লেক্সে সুইমিং- জিম, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল থেকে ড্রাইভিংও । গাড়ী কিনে সে সময় ভেবেছিলাম নিজেই ড্রাইভ করে বাচ্চাদের আনা নেয়া করব। কিন্তু সম্ভব হল না। সকালে স্কুল, বিকেলে কোচিং। ড্রাইভারের উপর নির্ভরশীল হতে হল।

ড্রাইভারকে নিয়ে আমিও চালাতাম, তখন রাস্তায় এত গাড়ীর চাপ ছিল না। একবার ধানমন্ডি ৯এ এক রিক্সায় ধাক্কা দিয়ে ৪শ' টাকা জরিমানা গুনলাম। ভাগ্য ভাল যাত্রী দুজন লাফ দিয়ে নেমে গেছিল, নইলে কী যে হত!!

এবার করোনাকালে বাধ্য হয়ে স্টিয়ারিংএ হাত রেখেছি। না রেখেই উপায় কী? সেমিকে নিয়ে দুইতিন দিন বের হলাম। এরপর একাই।৷ এখন কুইন আসছে, ওকে নিয়েও বের হই, ঘুরি।

রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ, গাড়ির ফুয়েল আর গ্যাস রিফিল করার সময় পাম্পের লোকজন সহযোগিতা করে। পারস্পরিক সহযোগিতা জীবনকে সুন্দর করে চলতে শেখায়।

সেদিন কাওরান বাজারের সিগন্যাল থেকে সোজা হাতির ঝিলের দিকে যাব, এমন সময় বা দিক থেকে একটা গাড়ী ওভার টেক করতেই বাম্পারে বাম্পারে খ্যাশশসস। কিশোর টাইপের ড্রাইভার নেমে এসে হ্যাচকা টানে নিজের বাম্পার ছুটিয়ে নিয়ে আমারটা হাতে ধরিয়ে দিয়ে গেল। আরোও বলল, দেখেশুনে চালাবেন !! আমি হতভম্ভ!!

সিগন্যাল দিয়েই তো যাচ্ছিলাম, উল্টাপাল্টা চালাইনে, কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে হুশ করে চলে গেল। ড্রাইভার শ্রেনীটা সবচেয়ে বেশী মূর্খ, এদের ন্যূনতম শিক্ষার নিয়ম থাকলেও ফাঁক ফোকর দিয়ে তারা লাইসেন্স পায়, নিয়ম মানা তাদের ধাতে নেই।

সাহস করে এ পেশাটায় নারীরা বেশি এগিয়ে এলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে, দুর্ঘটনাও কমে যাবে বলে আমার বিশ্বাস...তাই নয় কি? ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়