সুজন কৈরী : [২] সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ডাক্তার পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের পর বিয়ের কথা বলে নারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন ভাবে প্রতারণা করার অভিযোগে মিজানুর রহমান শাওন নামের একজনকে আটক করেছে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার।
[৩] সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) রেজাউল মাসুদ জানান, একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাজশাহীর বাঘা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চিকিৎসকের অ্যাপ্রোন, দুটি মোবাইল, চারটি সিম কার্ড ও চারটি ভুয়া ফেসবুক আইডি জব্দ করা হয়েছে। ওই চারটি আইডির তিনটিই বিভিন্ন ডাক্তারি পরিচয় দিয়ে খোলা হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন ভিকটিমের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে।
[৪] সিআইডি বলছে, বিয়ে ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্লাকমেইলিং, চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতারক শাওনের বিরুদ্ধে।
[৫] বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ জানান, রাজশাহীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সঙ্গে ফেসবুকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন পঞ্চাশোর্ধ শাওন। কিছুদিন পরে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং মেয়ের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিছুদিন পরেই কানাডাতে স্কলারশিপ পাওয়ার কথা জানিয়ে দ্রুত বিয়ে করার জন্য চাপ দেন শাওন। এরপর অতিদ্রুত কানাডায় স্যাটেলড হওয়ার কথা বলেন। কিন্তু গরীব ফ্যামিলির সন্তান দাবি করে ভিসা ও অন্য খরচ বাবদ মেয়ের পরিরিবারের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর মেয়ের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন শাওন। একপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে মেয়ের পরিবার সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারে যোগাযোগ করেন। ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে রোববার রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং গোয়েন্দা নজরদারি ও রাজশাহী পুলিশের সাহায্যে অবস্থান শনাক্ত করে শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়।