অজয় দাশগুপ্ত: ট্রাম্প কিংবা অন্যান্য সরকার প্রধানদের সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দেখা হবে- এটাই স্বাভাবিক। এটাতো আর সত্তর বা আশি-নব্বই দশক নয়। সত্তরের দশকে ভারতের সেক্যুলার সরকার প্রধান ইন্দিরা গান্ধীকে তিনদিন অপেক্ষায় রাখার পর নিক্সন কিসিঞ্জার দেখা করতে গিয়েছিলেন। কারণ ইন্দিরা ছিলেন বাংলাদেশের পক্ষে। আর তারা পাকিস্তানের পেয়ারা দোস্ত। এর আগেও তাদের নেতারা নেহেরুর সঙ্গে একই ব্যবহার করেছিলো বলে নেহেরু ঢুকে গিয়েছিলেন অতিথি পরায়ণ সোভিয়েত বলয়ে। ফলাফল? আন্তজার্তিক সকল যুদ্ধ ও স্নায়ুযুদ্ধে আমেরিকার পরাজয় ও বাংলাদেশের মুক্তি।
তাছাড়া আমি একটা লেখার শিরোনাম দিয়েছি, পূবের সূর্য পশ্চিমে অস্তাচলে। এখন আমাদের দেশগুলোর সময়। ধীরে ধীরে আমাদের মতো দেশ এবং ভারত, চীন, জাপানসহ এশিয়া আফ্রিকা উঠে এসেছে সামানের কাতারে। পুরনো জমিদারের মতো হাঁকডাক বেশি হলেও আমেরিকা বা ব্রিটেনের সেই জৌলুস নেই। তাই এদের সঙ্গে দেখায় মনোবল চাঙা ছাড়া কি লাভ হয় জানি না। তার চেয়ে নীচের ছবিটি অনেক মনোলোভা। কথায় আছে, বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী। আর লক্ষ্মী ছাড়াদের কেউ পছন্দ করে না। বিল গেটস ও তার মতো মানুষের এক মিনিট সময় নষ্ট করার সময় নেই। তারা কাজের মানুষ। দুনিয়াকে এগিয়ে দেওয়ার নেতা। যারা মানুষকে কাজ দেন, কাজে রাখেন, গতি দিতে জানেন তারাই নেতা। সেই বিল গেটস যখন নিজে গিয়ে শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন বুঝতে পারি দেশের ভাবমূর্তি বদলে গেছে। দেশে যতো অনাচার বা লুটতরাজ তার দায় রাজনীতি ও অসাধু কিছু মানুষের। শেখ হাসিনার কারণে বিল গেটসও এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছুটে যান। আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। শুভ জন্মদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
লেখক : কলামিস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষক