রাশিদুল ইসলাম : [২] বিএমপি-২ দ্বিতীয় প্রজন্মের ইনফ্যান্ট্রি ফাইটিং ভেহিকল প্রস্তুত রেখেছে ভারতীয় বাহিনী। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যুদ্ধট্যাঙ্ক মোতায়েন করল ভারত। কয়েক দিন আগে চুসুল সীমান্তে চীন ও ভারত সেনা কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত থেকে সেনা সরাতে সায় দেয়নি চীনের বাহিনী। ভারত আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যে কোনও পদক্ষেপ নেবে তাও জানিয়ে দেয় ওই বৈঠকে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] গত ২৯ ও ৩০ আগস্টের উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা তথা এলএসি থেকে ২০ কিলোমিটার দূরত্বে প্যাঙ্গং হ্রদের দক্ষিণে যুদ্ধট্যাঙ্ক নামিয়েছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে কালা টপের নীচ দিয়ে চুসুল, থাকুং এলাকার দিকে আগাচ্ছে চীনা সেনা। প্যাঙ্গং লেকের দক্ষিণে কালা টাপ সহ একাধিক পাহাড়ি এলাকা এখনও ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। ভারতীয় সেনা সূত্র জানাচ্ছে, কালা টপের দখল নিতে না পেরে চীনের বাহিনী এখন পাহাড়ি পাদদেশগুলোতে নিজেদের যুদ্ধট্যাঙ্ক সাজাচ্ছে। মলডো থেকে হেভি ওয়েট ট্যাঙ্ক, আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে থাকুং-এর দিকে এগোতে দেখা গেছে তাদের।
[৪] প্যাঙ্গং লেকের দক্ষিণ প্রান্ত স্প্যানগুর গ্যাপের উঁচু পাহাড়ি এলাকায় চীন ও ভারত দুই দেশের বাহিনীই টহল দেয়। গত শনিবার চুমার এলাকা দিয়ে ভারতের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ঢুকে আসার চেষ্টা করেছিল লাল ফৌজ। তাদের লক্ষ্য ছিল কালা টপ ও হেলমেটের দখল নিয়ে নেওয়া। চেপুজি ক্যাম্প থেকে কয়েকটি আর্মড ভেহিকলকে দেখেই সতর্ক অবস্থান নেয় ভারতীয় বাহিনী। এরপরেই চুসুলের কাছে ভারতের ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট মোতায়েল করল টি-৯০ যুদ্ধট্যাঙ্ক। এছাড়া মোতায়েনকৃত বিএমপি-২ ভেইকল উভচর। অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল ছোড়ার প্রযুক্তিও আছে।
[৫] ১৪ নম্বর কোরের চিফ স্টাফ মেজর জেনারেল অরবিন্দ কাপুর বলেছেন, প্রয়োজন হলে প্রচন্ড গুলির লড়াইতেও জবাব দেওয়া হবে চীনা বাহিনীকে।
আপনার মতামত লিখুন :