রাশিদ রিয়াজ : ট্যাঙ্কার ট্র্যাকার্স রয়টার্সকে বলেছে, আগস্ট মাসের চেয়ে ইরান সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিগুণ তেল রপ্তানি করেছে। ইরান দিনে তেল রপ্তানি প্রায় ১৫ লাখ ব্যারেলে উন্নীত করেছে। গত দেড় বছরে এই পরিমাণ নজিরবিহীন। এসব তেলের শতকরা ৭ থেকে ১০ ভাগ সুয়েজ খালের মাধ্যমে সিরিয়ায় পৌঁছেছে এবং বাকি তেল দূরপ্রাচ্যসহ অন্যান্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ট্যাংকার ট্র্যাকার্সের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের মোট রপ্তানিকৃত তেলের অর্ধেক কোথায় যায় তা পরিষ্কার নয়। গভীর সমুদ্রে এসব তেল জাহাজ থেকে অন্য জাহাজে স্থানান্তর করা হয়। অয়েল প্রাইস ডটকম
ইরানের তেল মন্ত্রণালয় তেল উ ত্তোলন ও রপ্তানির পরিমাণ ঘোষণা করে না। এছাড়া ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করায় ইরানের তেল রপ্তানির বিষয়টি চিহ্নিত করা কঠিন। কাগজপত্রে উল্লেখ করার চেয়ে চীন অনেক বেশি পরিমান তেল ইরান থেকে আমদানি করছে। ইরাকে ইরানের তেল রপ্তানির পরিমান বৃদ্ধি ছাড়াও ইরাকের রপ্তানি রুট অনুসরণ করছে ইরান। এপর্যন্ত ভেনিজুয়েলাগামী ইরানের তেলবাহী ৪টি জাহাজকে আটকের দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব জাহাজে ১০ লাখ ব্যারেলের বেশি তেল মজুদ রয়েছে। কিন্তু জাহাজগুলো পরিচালনা করছে যেসব কোম্পানি তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এ তেল ভেনেজুয়েলা নয় পেরু ও কলম্বিয়ায় নেয়া হচ্ছিল।
ইরান সাধারণত তেল রপ্তানি করে বছরে ১৪ বিলিয়ন ডলার আয় করে। এটি এখন বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০ বিলিয়নে। বাজেট বরাদ্দের ৪০ শতাংশ আসে তেল রতানি থেকে। ইরানের সবচেয়ে বড় পেট্রোকেমিক্যাল গ্রুপ পার্সিয়ান গাল্ফপেট্রোকেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানির সাবসিডিয়ারি কোম্পানি রয়েছে ৩৯টি। এছাড়াও রয়েছে বিদেশে তেল বিক্রির এজেন্ট। এছাড়া ইরানের তেল রপ্তানির বিরুদ্ধে মার্কিন অবরোধ আগের মত ভাল চোখে দেখছে না ইউরোপ। কারণ রাশিয়া থেকে সস্তায় গ্যাস আমদানির প্রচেষ্টা শুরু করায় ইউরোপের সঙ্গে বিরোধ আরো তীব্র হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের। রাশিয়া থেকে ১২’শ ২৫ মাইল দীর্ঘ গ্যাস পাইপ লাইন প্রকল্প নর্ড স্ট্রেম টু’র বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো নড়চড় হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট এলএনজি প্রতি মিলিয়ন রপ্তানি করছে ৬ থেকে সাড়ে ৭ ডলারে। রাশিয়া একই পরিমান এলএনজি ইউরোপে সাড়ে ৩ ডলারে বিক্রি করতে সমর্থ হবে নর্ড স্ট্রেম টু প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে।
আপনার মতামত লিখুন :