শিরোনাম
◈ আরপিও ২০ ধারার সংশোধনী: রাজনৈতিক অধিকার বনাম আইনগত বাধ্যবাধকতা ◈ পাঁচ দুর্বল ইসলামী ব্যাংক একীভূত: নতুন ‘সম্মিলিত ব্যাংক’ গঠনের পথে সুযোগ ও ঝুঁকি ◈ নৌ, বস্ত্র ও পাট, পরিকল্পনা ও সমবায়ে নতুন সচিব ◈ যারা চাপে পড়বেন নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন হলে ◈ প্রার্থীদের ঋণতথ্য যাচাইয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ জাকির নায়েকের বাংলাদেশে আসা নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ সাংবাদিককে কনুই মারলেন বিএনপি নেতা সালাম, ভিডিও ভাইরাল ◈ বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা ইস্যুতে যে পদক্ষেপ নিল ভারতীয় দূতাবাস ◈ গণভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে সোমবার! ◈ দুর্দান্ত ব‌্যা‌টিং‌য়ে অঙ্কনের শতক, ঘুরে দাঁড়ালো ঢাকা বিভাগ 

প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০২:০৯ রাত
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০২:০৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিপ্লব পাল: দিল্লিতে এখন বিল পাসের দিওয়ালী!

বিপ্লব পাল: দিল্লিতে এখন বিল পাসের দিওয়ালী। কৃষি বিল, লেবার আইন বিল-সহ আরও অনেক কিছুই পাস হলো। সংসদে নাটক হলো। দুটো বিলের ক্ষেত্রেই বিলের ইন্টেন্ট এবং উদ্দেশ্যকে সাধুবাদ জানাই। কারণ কৃষি যে ই-কমার্সের যুক্ত হওয়া দরকার, কৃষিতে করপোরেট ফান্ডিং আসা জরুরিÑ এগুলো গত পনেরো বছর ধরে আমি নিজেই লিখে আসছি প্রচুর।

কিন্তু মোদিশাহীর মূল সমস্যা ইমপ্লিমেন্টেশনে। ডিমনেটাইজেশন থেকে জিএসটি সর্বত্রই উনারা হেগে গন্ধ ছড়িয়েছেন। ইন্টেন্ট উদ্দেশ্য মহৎ হওয়া সত্ত্বেও। এক্ষেত্রেও তাই হবে। কারণটা সিম্পল। সাফল্যনির্ভর করে ‘ডিটেলেসের’ ওপর। ওটা মোদিজির ধাতে নেই। তিনি ভাবুক স্বপ্নীল মানুষ। স্বপ্ন দেখেন। তা দেখা ভালো। কিন্তু ইমপ্লিমেন্টেশন না হলে যে মহম্মদ বিন তুঘলকের তুঘলকীকাণ্ড হয়, সেই সদুউপদেশ তাকে দেওয়ার মতন লোক দিল্লিতে নেই।

কৃষি বিলেও প্রচুর ডিটেলেসএর অভাব আছে। আমি একটা সহজ উদাহরণ দিচ্ছি। বিলের উদ্দেশ্য করপোরাটাইজেশন এবং তার থেকে কৃষকদের লাভ। এবার ধরুন, কেউ ‘ভাগিরথী চাল’ বলে একটা চালের ব্রান্ড চালু করার চেষ্টা করছে। সেই কোম্পানি, সাপ্লাই লাইন তৈরির জন্য, ২০,০০০+ চাষিকে ভেন্ডর লাইনে কানেক্ট করবে? অসম্ভব। মধ্যেখানে প্রচুর দালাল কোম্পানি তৈরি হবে- যারা মূল ব্রান্ডের সাথে কনট্রাক্ট করবে। কারণ এতে করে একটা চাল কোম্পানি ৫-৬টা ভেন্ডর সাপ্লাই লাইনে কাজটা করতে পারবে। মূল সমস্যা এটাই হবে যে এই সব দালাল কোম্পানি খুলবে কারা? স্থানীয় সিন্ডিকেট-রাজনৈতিক প্রভাবশালী। দখল রাখার খুন-খারাপি হবে। চাষিকে ভয় দেখিয়ে দামটা তারাই কন্ট্রোল করবে।

একটা ছোট সংশোধন হলেই বিলটা ঝাক্কাস চলতো। সেটা হচ্ছে একটা ছোট আইন যে করপোরেট তার কাছ থেকেই কিনতে পারবে, যার জমি আছে কিংবা কোনো চাষিদের সমবায় থেকে কিনলেও চলবে। বাকি সব বেচাকেনা ই-লিগ্যাল। তাহলেই চাষিরা দাম পেতো ভালো। দালাল লেয়ার কেটে যেতো। বেসিক্যালি এই বিল প্রচুর স্থানীয় মাফিয়া এবং সিন্ডিকেট তৈরি করবে।

লেবার আইনের কিছু দিক লঘু, কিছু দিক কড়া হওয়া উচিত। সেটাই হয়েছে। কর্মী ছাঁটাই এর আইন সহজ না হলে, ভারতে বিজনেস করা আরো কঠিন হবে। ভালো প্রোডাক্টিভ কর্মীদের কোনো কোম্পানি ছাঁটাই করে না। করলে লস তাদের। এটা হচ্ছে যেকোনো বিজনেসের এবিসিডি। তাহলে একটা সংস্থা ছাঁটাই করে কাদের এবং কখন? খুব দায়ে পরে। ইচ্ছা করে কেউ কোনো সংস্থা ছাঁটাইয়ের পথে যায় না। অন্যদিকে ন্যূনতম মজুরি, মাইনে আরও বাড়ানো উচিত। ফ্যাক্টরির সেফটি এবং শ্রমিকদের সেফটি আইনগুলো ভারতে নামে মাত্র আছে। এগুলো আরও কড়া হওয়া দরকার। এতে শ্রমিকদের স্কিল কোয়ালিটি দুটোই বাড়বে। এখন দেখাযাক, ভবিষ্যৎ কী বলে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়