শিরোনাম
◈ ‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে মামলা না থাকলেও গ্রেপ্তারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ◈ হাদির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন, শুটার পালানোয় নেপথ্যের কুশীলবদের গ্রেপ্তারে গুরুত্ব দিচ্ছে পুলিশ ◈ আগামী বছরের অমর একুশে বইমেলা শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি ◈ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট ◈ হাসনাত কি সরকারের অংশ? ভারতের প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রশ্ন (ভিডিও) ◈ মুস্তাফিজকে আইপিএলের মাঝপথে ‌দে‌শে ফিরতে হবে, খেল‌বেন নিউ‌জিল‌্যান্ড সি‌রিজ ◈ বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যে বার্তা দিল ভারত ◈ ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা ◈ পুরান ঢাকায় ভয়াবহ আগুন ◈ বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৫:৪৬ সকাল
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৫:৪৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নৌভ্রমণের আড়ালে চলছে কী?

ডেস্ক রিপোর্ট: পাবনার চাটমোহরে চলতি বর্ষা মৌসুমে নৌভ্রমণ ও ভুড়িভোজের আড়ালে চলছে ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’। দিনে-রাতে প্রকাশ্য চলা এ কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে আন্তরিকতা দেখা যায়নি পুলিশসহ উপজেলা প্রশাসনের। ফলে ক্ষোভ বিরাজ করছে বিলপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে।

সরেজমিনে উপজেলার হান্ডিয়াল ও নিমাইচড়া বিলে দেখা গেছে, বেশিরভাগ নৌভ্রমণের নৌকার সামনে দৃষ্টিকটু পোশাকে নাচছেন নর্তকীরা। সিনেমা স্টাইলে নর্তকীকে সঙ্গ দিচ্ছেন যুবক ও তরুণরা। গান ও বাদযন্ত্রের তালে চলছে এ নৃত্য। ছাউনির ভেতরেও চলছে নাচ। সেখানকার পরিবেশটা আর লজ্জাকর। তবে অন্য একটি নৌকার কাছাকাছি আসতেই নর্তকীরা সামনের অংশ থেকে দ্রুত চলে যাচ্ছে ছাউনির ভেতরে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কথিত এ সব নর্তকীরা মূলত যৌনকর্মী। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে এদের আনা হচ্ছে। বিনিময়ে এদের হাতে দেওয়া হচ্ছে মোটা টাকা। অভিযোগ, দিনে আয়োজকদের নৃত্যের মাধ্যমে আনন্দ দিচ্ছেন এরা।একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নর্তকী থাকা নৌকাগুলা গভীর বিলে চলে যায় রাতে। রাতভর বিলেই থাকে। রাত যত গভীর হয়, নৃত্যের সঙ্গে অশ্লীলতাও বাড়তে থাকে। এ ধরনের নৌকাগুলোর বেশিরভাগ অংশ কৌশলে পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখছেন নৌমালিকেরা।

নিমাইচড়া এলাকার বাসিন্দা মুক্তার হোসেন জানান, এ সব নর্তকীর কারণে পরিবার-স্বজনদের সঙ্গে নৌকাভ্রমণে আসলে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।হান্ডিয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে এম জাকির হোসেন বলেন, ‘আমিও শুনেছি। ওরা সংখ্যায় বেশি, তাই কিছু করা যায় না। এক বছর আগে চারটি নর্তকীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে পিছু হটেছি।’

এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি প্রশাসন) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের তথ্য আমার কাছে নেই। তবে এ ধরনের অপকর্ম চলনবিলে হয়ে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়