বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] বর্তমানে পেঁয়াজে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ২ শতাংশ অগ্রীম আয়কর রয়েছে । [৩] আমদানিকারকদের দাবির প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে পেঁয়াজের আমদানি পর্যায়ে শুল্ক মওকুফের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু দেশিয় পেঁয়াজ চাষিদের স্বার্থ বিচেনায় নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রস্তাবটি নাকচ করে দিয়েছে।
[৪] ২০২০-২১ সালের বাজেটে প্রথম বারের মতো পেঁয়াজসহ কয়েকটি কৃষি পণ্য আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। এ ছাড়াও আমদানি পর্যায়ে ২ শতাংশ অগ্রীম আয়কর যুক্ত করা হয়। স্থানীয় পর্যায়েও পেঁয়াজ সরবরাহে ২ শতাংশ অগ্রীম আয়কর প্রদান করতে হয়। বর্তমানে শুল্ক ও আয় কর মিলে পেঁয়াজে মোট ট্যাক্স দিতে হয় ৭ শতাংশ।
[৫] এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শুল্ক উঠিয়ে দিলে বাজারে পণ্যের মূল্য কমে এমন কিছু অতিতে ঘটেনি। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, কোভিড মোকাবেলায় ব্যবহ্রত মাস্কসহ অনেকগুলো পণ্যের শুল্ক শূণ্য করা হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা পণ্যের মূল্য কমায়নি। সরিষার তেলের ব্যাট কমানো হয়েছে কিন্তু বাাজরে সরিষার তেলের মূল্য বেড়েছে। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্থ হয় দেশিয় উৎপাদকেরা।
[৬] দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ লাখ টন। উৎপাদন হয় ২৪ লাখ টন। আমদানি হয় ১ লাখ টন। ভারত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করায় দেশে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করে দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :