রাশিদুল ইসলাম : [২] বাইটড্যান্সের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনকে নিশ্চিত করেছি আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। গ্রাহকদের সঙ্গে সুষ্ঠু আচরণ করা হয়। তাই নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল সিস্টেমের মাধ্যমে আইনগত চ্যালেঞ্জ জানানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই আমাদের হাতে। টিকটক আশা করছে, এই আইনগত চ্যালেঞ্জ এই সপ্তাহেই শুরু হবে। চীনা প্রতিষ্ঠান টেনসেন্টের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইচ্যাটের বিরুদ্ধে একই রকম নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এর বিরুদ্ধে চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিনিদের একটি গ্রুপ আলাদা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে শুক্রবার। সিএনএন
[৩] ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ তোলে বাইটড্যান্স টিকটকের মাধ্যমে মার্কিন ব্যবহারকারীদের ডাটা স্থানান্তর করতে পারে চীন সরকারের কাছে। বাইটড্যান্সের কর্মকর্তারা এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন তারা কোনো ডাটা চীনে পাঠাননি। টিকটক বলেছে, তারা প্রায় এক বছর ধরে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও মনোযোগ পাননি।
[৪] সিএনএন’কে দেয়া এক বিবৃতিতে টিকটক বলেছে আইনের শাসন নিশ্চিত করতেই আমরা আইনী লড়াইয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছি। এছাড়া আর কোনো উপায় নেই। হোয়াইট হাউস ও মার্কিন বিচার বিভাগের কাছে সিএনএন এব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেও কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
[৫] সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডাটা পাচার হওয়ার একটা তাত্ত্বিক ঝুঁকি আছে যদি তা ভুল লোকের হাতে পড়ে। তবে এখন পর্যন্ত এধরনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আর এধরনের ডাটা নিয়ে মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কাজ করছে, সেখানেও তা গুপ্তচরবৃত্তিতে ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে।