সুলতান মির্জা: ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে আবিষ্কার করা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে সরাসরি উৎপাদন করবে। ইতোমধ্যে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ ভারতের একটি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করে রেখেছে ,কার্যকর চূড়ান্তÍ অনুমোদন পেলেই ভ্যাকসিন ভারত সরকার নিজেদের দেশে ব্যবহার করবে। সেখান থেকে ভারত যদি বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেয় কিংবা ফর্মুলা শেয়ার করে এতে বাংলাদেশের লাভ ছাড়া কোনো ক্ষতি নেই। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীনের ভ্যাকসিনের যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিন কার্যকরী হবে এটা খুব সহজে অনুমেয়। এমন অবস্থায় যদি ভারত নিজেরা স্ব-ইচ্ছায় বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দিতে চায়, এতে আমাদের ক্ষতি ঠিক কোন লাইনে বিষয়টা বুঝতেছে না।
বিষয় হলো তুমি বাংলাদেশে থাকো, ভারতকে দেখতে পারো না, ভারতের নাম শুনলে তোমার শরীরে আগুন বাইর হয়। কোনো সমস্যা নাই। তুমি এখন থেকেই বিশ্বাস করতে শেখোÑ ভারত থেকে বাংলাদেশে যদি করোনা ভ্যাকসিন আসে, সেটা স্পেসিফিক তোমার নাম মেনশন করে আসবে না। ভারত সরকার ভ্যাকসিন দেবে বাংলাদেশ সরকারকে, বাংলাদেশে সরকারের লাখো-কোটি ফ্যান-ফলোয়ার্স আছে যারা সরকারকে ভালোবাসে। তুমি যেহেতু ভারতে পেঁয়াজ খেয়ে ঢেকুর, ভারতীয় টিভি চ্যানেল দেখে তৃপ্তি সহকারে ফেসবুকে ঢুকেই ভারতের গোষ্ঠী উদ্ধার করো, গ্যারান্টি সহকারে তুমি ধরে নাও তোমার জন্য ভারত করোনার ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে না, এমনকি তোমার জন্য সরকারও ভ্যাকসিন আনবেও না। অতএব, হুদাই চিল্লাপাল্লা করার কিছু নেই। ফেসবুক থেকে