লিহান লিমা: [২] মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো চিঠিতে বলেছেন, ২০১৫ সালের ইরান পরমাণু চুক্তির শর্তনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞারোপের অধিকার রয়েছে। এদিকে পাল্টা চিঠিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র একবার চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে আইন লঙ্ঘন করেছে। তারা কোনোভাবেই নিষেধাজ্ঞা পুর্নবহালের অধিকার রাখে না। আল জাজিরা
[৩] ছয় জাতিগোষ্ঠির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিলো, পরমাণু কর্মসূচিতে কাটছাঁট করলে দেশটির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের অক্টোবরে ইরানের ওপর থেকে জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। ফলে বর্হিবিশ্বের অস্ত্র উৎপাদন ও ক্রয়-বিক্রয় বাজারে প্রবেশ করতে পারবে ইরান। ২০১৮ সালে ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র।
[৪] চুক্তিতে একটা স্ন্যাপব্যাক মেকানিজমের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করলে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আবার জারি হবে। যুক্তরাষ্ট্র এই শর্তে গত সপ্তাহে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের প্রস্তাব আনলে নিরাপত্তা পরিষদে তা প্রত্যাখ্যাত হয়। এপি
[৫] জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তাখতে রাভাঞ্চি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি স্ন্যাপব্যাক মেকানিজমের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের চেষ্টা চালায় তাহলে আবারো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অপমানিত হবে।
[৭] মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পরমাণু ইস্যুতে চুক্তির শর্ত পালন করায় কোনো দেশই এই নিষেধাজ্ঞা পুনবর্হাল করতে চাইছে না। এছাড়া চুক্তি ভঙ্গ করে তা থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি মিত্র দেশগুলোর অনাস্থা তৈরি হয়েছে। প্রেসটিভি
[৮] জাতিসংঘে রাশিয়ার ডেপুটি রাষ্ট্রদূত দিমেত্রী পেলোনেস্কি বলেন, ‘মনে হচ্ছে এখানে দুইটি বিশ্ব। এক বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র নিজের ইচ্ছেমত স্তবক গাইছে। চুক্তি ভঙ্গ করে এখনো নিজেদের সুবিধা আদায়ে ব্যস্ত। আর বাকি বিশ্ব, যেখানে রয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং কূটনীতি।’ সম্পাদনা: ইকবাল খান