সিরাজুল ইসলাম : [২] হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বৈরুতের শহীদ স্কয়ারে অবস্থান নিয়েছেন। তারা বিস্ফোরণের জন্য দায়ীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। তারা মিছিল নিয়ে পার্লামেন্ট ভবনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়েছে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। শনিবার এ ঘটনা ঘটে। আলজাজিরা
[৩] আহত ৩২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে অন্তত ১০২ জনকে। পুলিশ ১৯ জনকে হেফাজতে নিয়েছে।
[৪] একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিক্ষোভকারী অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভবন দখল করে নিয়েছে। তারা প্রেসিডেন্ট মিশেল আওননের ছবি এবং নথিপত্র ফেলে দিয়েছে। তারা বলছেন, এটাই হবে বিপ্লব ভবন।
[৫] বিক্ষোভকারীদের সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পদ ধ্বংস না করতে অনুরোধ জানিয়েছে সেনাবাহিনী। কাতাইব পার্টির তিনজন এবং স্বতন্ত্র একজন এমপি পদত্যাগ করেছেন।
[৬] প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব আগাম নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেবাননকে সহায়তা দিতে কনফারেন্সে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন লেবানের প্রেসিডেন্ট মিশেল আওননের সঙ্গে দেশটি পুনর্গঠনে এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছেন। তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতেই লেবানন পুনর্গঠনে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
[৭] মঙ্গলবার বৈরুত বন্দরের কাছে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট গুদামে বিস্ফোরণে শনিবার পর্যন্ত ১৫৮ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন চার হাজারের বেশি মানুষ। নিখোঁজ রয়েছেন ৬৮ জন। গৃহহীন হয়েছেন ৩ লাখের বেশি মানুষ। দেশটির মজুদ খাদ্যের ৮৫ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে।