অজয় দাশগুপ্ত: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যদি ঘরের সমর্থন না পেতেন, এতোটা যেতে পারতেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে। দুনিয়ায় সব কৃতিও বড় পুরুষ মানুষের জীবনে তাদের পরিবার বিশেষত পত্নীর ভূমিকা অসীম। শেখ হাসিনা একটি গল্প বলেন। যখন বাড়িতে টানাটানি থাকতো তাদের মা বলতেন, আজ আমরা গরিব খিচুড়ি খাবো। এই গরিব খিচুড়ি নিয়েই মাতোয়ারা থাকতো পরিবার।
এটা আমরা ভুলে যাই বঙ্গবন্ধু জীবনের অনেকটা সময় জেলে কাটিয়েছে। যাদের পিতা বছরের পর বছর জেলে থাকেন তাদের সন্তানেরা কি হাওয়ায় মানুষ হয়ে যায়? তখনকার রাজনীতিবিদদের এমন হাজার কোটি টাকা ছিলো না। কোটিও না। দিনশেষে কোনো রকমে চলা মানুষের মতো এরা জীবন উৎসর্গ করতেন মানব কল্যাণে। তেমন এক পরিবারকে টেনে নিয়ে গেছিলেন বেগম মুজিব।
এটা সবাই জানেন তাদের পরিবারে হাতে গোনা অতিথি আসতো না। দিন থেকে রাত লোক আসতো আর যেতো। এতো মানুষ এতো লোক কে কখন খাচ্ছে, কে কী খাচ্ছে, তার হিসেব রাখতেন কে? ওই একজনই সব সামাল দিতেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘাতকেরাও তাদের বাড়িতে খেতো। রাজনৈতিক বন্ধু শত্রু সবাইকে খাওয়াতেন বঙ্গবন্ধু তিনি তো বলেই খালাস। সব কিছু দায়িত্ব নিয়ে করতেন বেগম মুজিব। ইতিহাস বলে ৭ মার্চের ভাষণ দিতে যাবার আগে বঙ্গবন্ধুকে সাহস ও শক্তি যুগিয়েছিলেন তার পত্নী। বিপদের ওপর বিপদ আর চরম বিজয়েও তিনি ছিলেন অটল অনড়। ছবি দেখলেই বুঝবেন সুখি একটি দাম্পত্য জীবন। এমন নিরপরাধ নারীকেও রেহাই দেয়নি ঘাতকের দল। পতি পরায়ণা বেগম ফজিল্লাতুন্নেছা মুজিবের আজ জন্মদিন। শ্রদ্ধা জানাই তাকে।