শওগাত আলী সাগর: অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাকে ১০ জন সৎ কর্মকর্তা দিলেই তিনি পুরো সিস্টেমকে দুর্নীতিমুক্ত দেবেন। এই ঘোষণায় যারা আহলাদিত হন- আমি সেই দলে নই। তার নিজের পদ-পদবি, ক্ষমতা না বাড়ালে অতিরিক্ত সচিবের পদে থেকেই তিনি দুর্নীতিমুক্ত করে ফেলতে পারবেন। কোনো বিভাগকে? নাকি তাকে বাড়তি ক্ষমতা দিয়ে উচ্চ পদে বসাতে হবে, উচ্চ পদের কর্মকর্তা তার সাথে দিতে হবে। সেটা পরিষ্কার না। এই ধরনের ব্যবস্থা চাইলেই পাওয়া যায় কিনা কিংবা অতিরিক্ত সচিবের পদমর্যাদার একজন ব্যক্তি এই ধরনের বক্তব্য দিয়ে নিজেকে ছাড়া বাদবাকি সবার দিকে আঙুল তুলছেন কিনা? এমন অনেক বিষয় আলোচনার দাবি রাখে। একজন সরকারি কর্মকর্তার এ ধরনের ঘোষণায় মনোযোগ পাবার প্রচেষ্টা থাকতে পারে- কিন্তু সেটি বাস্তবসম্মত কিছু না। তাকে বাহবা দেবার আগে আমি অবশ্যই রেলওয়েকে দুর্নীতিমুক্ত করার ক্ষেত্রে তার পেছনের ভূমিকা বিশ্লেষণের প্রস্তাব করবো।
তবে সরকারি কর্মকর্তাদের এই ধরনের ঘোষণাকে প্রশ্রয় বা উৎসাহ দেয়ায় বিপদ আছে। প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের সচিব-অতিরিক্ত সচিবরা যদি বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে ১০ জন করে সৎ অফিসার চেয়ে বসেন, তা হলে অবস্থাটা কী দাঁড়াবে। সমস্যা হচ্ছে, টকশোতে বক্তৃতা শুনে এখন আমরা ঠাহর করতে পারি না, রাজনীতিক নাকি কোনো আমলা কথা বলছেন, নাকি কোনো ডাক্তার, শিক্ষক, সাংবাদিক, প্রকৌশলী বা পেশাজীবী কথা বলছেন। সবাই এখন রাজনীতির ভাষায়, রাজনীতিকদের মতোই কথা বলেন। রাজনীতিকদের মতো রাজনীতির ভাষায় কথা না বলে তারা নিজেদের কাজটুকু করলে অনেক কিছুই পাল্টে যেতে পারতো। ফেসবুক থেকে