ইসমাঈল ইমু : [২] ক্রসফায়ারের ভয়ে ও নিরাপত্তার কারণে তাকে জামিনে বের করছেনা পরিবার। দুর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের জেরে ‘কক্সবাজার বাণী’ পত্রিকার সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফাকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসের বিরুদ্ধে।
[৩] ক্রসফায়ারের ভয়ে রাতের আধারে কক্সবাজার থেকে পালিয়ে আসা ফরিদুল মোস্তফার জীবন আজ নিস্তেজ। অসহায় স্ত্রী, সন্ত্রান, পিতা-মাতাও আজ অসহায়। দোষ একটাই পুলিশের দুর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ লিখতো মোস্তফা। অন্ধ প্রায় চোখ, ডানা হাত ভাংগা, আঙ্গুল থেতলানো মোস্তফা বুঝি আর সাংবাদিকতা করতে পারবে না।
[৪] জানা যায়, সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করেছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার। কোনো পরোয়ানা ছাড়াই ঢাকার পল্লবী থেকে তাকে ধরে নিয়ে টেকনাফ থানায় তিন দিন আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। পরে মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয় এই সাংবাদিককে।
[৫] ফরিদুল মোস্তফার স্ত্রী হাসিনা জানিয়েছেন, তার স্বামী বিভিন্ন সময় টেকনাফ থানার ওসিসহ পুলিশ সদস্যদের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এ কারণে তাকে ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর এলাকার বাসা থেকে ধরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। সেসময় তার চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে নির্যাতন করায় বর্তমানে দুটি চোখই নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়া তার হাত-পা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার এক চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :